জানা গেল কে এশিয়ার শীর্ষ ধনী
২০২৩ সালটি খারাপই গিয়েছিল বলা যায় ভারতের শীর্ষ ধনী গৌতম আদানির। বছরের শেষের দিকে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ান তিনি। তবে ২০২৪ সালের শুরুটাই সুখবর দিয়ে শুরু হয়েছে এই ধনকুবেরের। এশিয়ার শীর্ষ ধনীর তকমা পেলেন ভারতীয় ব্যবসায়ী গৌতম আদানি। ২০২৩ সালে সম্পদের র্যাঙ্কিংয়ে অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে তিনি ফের শীর্ষস্থান দখল করেছেন। গত বছর মার্কিনভিত্তিক শর্ট সেলার হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর বড় ধরনের ধস নেমেছিল আদানির ব্যবসায়।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, এশিয়ার শীর্ষ ধনীর তকমার পাশাপাশি আরও একটি সুখবর পেলেন আদানি। ভারতের সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, হিন্ডেনবার্গ মামলায় সিটের তদন্তের প্রয়োজন নেই। এই মামলায় এসইবিআই’র তদন্তের ওপরই ভরসা রাখার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। যার পর আদানিদের গোষ্ঠীর শেয়ার দ্রুতহারে বাড়তে থাকে।
ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্স অনুসারে আদানির মোট সম্পদ একদিনে ৭ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার বেড়ে ৯৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন হয়েছে। এর পরেই মুকেশ আম্বানিকে পেছনে ফেলে শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধার করেছেন গৌতম আদানি। ১৯৮০ সালে হীরা ব্যবসায়ী হিসেবে যাত্রা শুরু করেছিলেন আদানি।
কর্পোরেট জালিয়াতির হিন্ডেনবার্গের অভিযোগ অস্বীকার করা সত্ত্বেও, আদানি গোষ্ঠী গত বছর এক সময়ে বাজার মূল্যে ১৫০ বিলিয়নের বেশি হারায় এবং বিনিয়োগকারীদের, ঋণদাতাদের প্ররোচিত করতে, ঋণ পরিশোধ করতে এবং নিয়ন্ত্রক উদ্বেগগুলিকে প্রশমিত করতে কয়েক মাস ব্যয় করে। এই সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্ট স্থানীয় বাজার নিয়ন্ত্রককে তিন মাসের মধ্যে সমষ্টির তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দেওয়ার পরে আদানি গ্রুপের স্টক বেড়েছে। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে স্বস্তি পাওয়ায় আদানিকে বলতেও শোনা গেছে, ‘সত্যের জয় হয়েছে’।
আদানি গ্রুপ পরবর্তী দশকে তার ব্যবসায় সবুজ রূপান্তরের জন্য ১০০ বিলিয়ন বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, কয়লা ব্যবসার বাইরে ডাটা সেন্টার, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, নগর উন্নয়ন, বিমানবন্দর এবং মিডিয়াতে তার সাম্রাজ্য বিস্তারের পথ প্রশস্ত করেছে।