জাপানে ৯০ মিনিটে ২১ বার ভূমিকম্প, নিহত ১৩
জাপানে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে জাপানে। এর পর মাত্র ৯০ মিনিটে আরও ২১ বার ভূমিকম্প (আফটার শক) হয়েছে। অধিকাংশ আফটার শকের মাত্রা চার বা তার ওপরে ছিল। এ ছাড়া আগামী তিন থেকে সাত দিন পর্যন্ত শক্তিশালী আফটার শক অব্যাহত থাকতে পারে বলে সতর্ক করেছে জাপানি আবহাওয়া সংস্থা। খবর বিবিসি, সিএনএন ও আল জাজিরার।
সোমবার (১ জানুয়ারি) জাপানের উত্তরাঞ্চলে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের পর পর উপকূলীয় অঞ্চল ইশিকাওয়া, নিগাতা ও তোয়ামায় সুনামি সতর্কতা জারি করে জাপানের আবহাওয়া বিভাগ। এমন সতর্কবার্তার ঘণ্টাখানেক পরই স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ২১ মিনিটে ইশিকাওয়া অঞ্চলের ওয়াজিমা শহরের উপকূলে ৩ দশমিক ৯ ফুট উচ্চতার ঢেউ আছড়ে পড়ে।
এ ছাড়া তোয়ামা শহর, কাশিওয়াজাকি, কানাজাওয়া বন্দর, টোবিশিমা দ্বীপ, সাদো দ্বীপসহ জাপানের পশ্চিম উপকূলীয় কয়েকটি এলাকায় এক মিটারের কম উচ্চতার সুনামির খবর পাওয়া গেছে।
অন্যদিকে এখনো বড় ধরনের সুনামির ঝুঁকিতে রয়েছে ইশিকাওয়ার নোটো শহর। জাপানের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, এই শহরে ৫ মিটার উচ্চতার ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে।
জাপানের মিটিওরোলিজক্যাল এজেন্সি (জেএমএ) জানিয়েছে, এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৬ এবং অপর একটি ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬। এদিকে, এই ভূমিকম্পে অন্তত ১৩ জন নিহত হয়েছে।
মূলত তীব্র ভূমিকম্পের কারণে বেশ কয়েকটি ভবন ধসে পড়ার কারণে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। সব মিলিয়ে ভূমিকম্প উপদ্রুত ইশিকাওয়া প্রিফেকচারে প্রায় ৩৩ হাজার বাড়ি বিদ্যুৎহীন হয়ে এ ছাড়া, ভূমিকম্পের সময় বিদ্যুৎ স্ফুলিঙ্গ থেকে সৃষ্ট আগুনেও বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে।
শুধু জাপান নয়, শক্তিশালী এই ভূমিকম্পের পর উত্তর কোরিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও রাশিয়ায় সুনামি সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। এমনকি দক্ষিণ কোরিয়ায় দেড় ফুট উচ্চতার সুনামি আঘাত হানার খবর দিয়েছে দেশটির আবহাওয়া অফিস।