গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত বেড়ে ২০,৭০০
গত ৭ অক্টোবর থেকে অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। দখলদার দেশটির হামলা ৮০ দিন গড়িয়েছে। এই সময়ের মধ্যে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ২০ হাজার ৭০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৫৪ হাজারেরও বেশি।
গতকাল সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, বিগত ৭৯ দিনে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছে ২০ হাজার ৬৭৪ জন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা জানিয়েছেন, এই সময়ে ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছে আরও অন্তত ৫৪ হাজার ৫৩৬ জন।
এদিকে, গাজা উপত্যকার একটি টানেল থেকে পাঁচ ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ উদ্ধারের দাবি করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। এদের মধ্যে তিনজন আইডিএফের সদস্য এবং দুজন বেসামরিক। গত রোববার সন্ধ্যায় এক ঘোষণায় এ দাবি করেছে আইডিএফ। মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি এক বিবৃতিতে বলেন, ইসরায়েলি বাহিনী গাজা উপত্যকার উত্তরে জাবালিয়া অঞ্চলে সুড়ঙ্গের একটি নেটওয়ার্ক খুঁজে পেয়ে সেখান থেকে নিহত পাঁচ ইসরায়েলি জিম্মির মৃতদেহ উদ্ধার করেছে।
আইডিএফের এ ঘোষণার আগের দিনই হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসাম ব্রিগেড বলেছিল, পাঁচজন ইসরায়েলি জিম্মি থাকা একটি দলের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। জিম্মিরা ইসরায়েলি হামলায় নিহত হতে পারে বলেও জানায় আল-কাসাম ব্রিগেড।
কয়েক দিন আগে আল-কাসাম ব্রিগেডের প্রকাশিত এক ভিডিওতে এই পাঁচ জিম্মির মধ্যে তিনজনকে দেখানো হয়েছে। সেখানে জিম্মিরা ইসরায়েলি সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, তাদের বন্দী অবস্থায় যেন ফেলে না যাওয়া হয়।
বন্দীদের এই অনুরোধ রক্ষা করতে পারেনি আইডিএফ। সে প্রসঙ্গে ড্যানিয়েল হ্যাগারি বলেন, গাজা উপত্যকায় স্থল অভিযান চালানোকে প্রচণ্ড জটিল কাজ হিসেবে অভিহিত করে বলেন, আমাদের পক্ষের মানুষের হতাহতের ঘটনা ছাড়া হামাসকে ধ্বংস করা অসম্ভব।
এদিকে আন্তর্জাতিক কোন সংস্থায় গাজায় ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছে। জাতিসংঘে গাজা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব উত্থাপন করা হলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোর কারণে তা ব্যর্থ হয়ে যায়।