গাজা ইস্যুতে মুসলিমরা আর কখন আওয়াজ তুলবে? এরদোগান
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ফের ইসরায়েল এবং পশ্চিমা নেতাদের সমালোচনা করেছেন। উজবেকিস্তানের তাসখন্দে বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে তুর্কি নেতা গাজায় রক্তপাত বন্ধে পদক্ষেপ নিতে মুসলিম বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানান।
এরদোয়ান বলেন, মুসলিমরা এখন না হলে আর কখন আওয়াজ তুলবে? তুরস্কের প্রেসিডেন্ট উল্লেখ করেন, বিশ্ব একটি উন্মত্ততার মুখোমুখি হচ্ছে। এমনকি শিশু হত্যাকেও বৈধতা দিচ্ছে।
তুর্কিয়ে সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ডের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে। এছাড়া ডেইলি সাবাহ এনবিসি নিউজের প্রতিবেদেনও এই তথ্য জানা গেছে।
ইসরায়েলের হাতে নির্মমভাবে নিহদের প্রায় ৭৩ শতাংশই নারী ও শিশু। তারা বেসামরিক আবাসিক এলাকায় বোমা বর্ষণ অব্যাহত রেখেছে। প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান পরিস্থিতি সম্পর্কে ভণ্ডামিপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গির সমালোচনা করেন।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট ২০১৫ সালে ফরাসি প্রকাশনা শার্লি হেবদোতে হামলার পর বিশ্ব নেতাদের প্রতিক্রিয়া প্রসঙ্গে বলেন, যখন ২৫ জন নিহত হয়েছিল তখন তারা একত্রিত হয়েছিল কিন্তু গাজায় ১০ হাজার মানুষ হত্যার পর তারা নীরব!
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নৃশংস হামলা শুরু করেছে দখলদার ইসরায়েল। এরই মধ্যে ৩৪ দিনে গড়িয়েছে। এতে গাজায় নিহতের সংখ্যা সাড়ে ১০ হাজার ছাড়িয়েছে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলর অব্যাহত বোমাবর্ষণে নিহতের সংখ্যা সাড়ে ১০ হাজার ৮১২ জন। নিহতদের মধ্যে ৪ হাজার ৩২৪ জন শিশু রয়েছে। ইসরায়েলের হামলায় গতকালের চেয়ে আজকে নতুন করে আরও ২৪১ জন নিহত হয়েছেন।
মন্ত্রলালয় আরও জানায়, ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত ২৬ হাজার ৪৭৫ জন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। এ ছাড়া এখনও ২৫৫০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৩০৫ জন শিশু রয়েছেন। অব্যাহত এ হামলায় ১৯৩ জন মেডিকেল স্টাফ নিহত হয়েছেন এবং ৪৫টি অ্যাম্বুলেন্স ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পরিসেবার বাইরে চলে গেছে। এছাড়া গাজার ১০টার উপরে হাসপাতালে পরিষেবা বন্ধ হয়ে গেছে।
অধিকৃত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরেও হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। এই হামলায় এখন পর্যন্ত ২৬৫ জনের ওপরে নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও কয়েক শত মানুষ।
এছাড়া আজ পশ্চিম তীরে গ্রেপ্তার অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল। সেখানকার মোট ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে দখলদার বাহিনী। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মতে, গত ৭ অক্টোবর থেকে তারা অধিকৃত পশ্চিম তীরে মোট ১৪৩০ জনেরও বেশি আটক করেছে। তবে ফিলিস্তিনি প্রিজনার্স গ্রুপ বলছে, ৭ অক্টোবর থেকে ২,২০০ জনকে আটক করা হয়েছে।