ফ্লোটিলার ১৩৭ জনকে ফেরত পাঠাল ইসরায়েল
-1040845.jpg?v=1.1)
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যাওয়ার পথে আটক ‘সুমুদ ফ্লোটিলা’র জাহাজ থেকে অপহৃত ১৩৭ জন অধিকারকর্মীকে তুরস্কে পাঠিয়েছে ইসরায়েল। শনিবার (৪ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
গত সপ্তাহে গাজার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া নৌবহর থেকে প্রায় ৫০০ অধিকারকর্মীকে ধরে নিয়ে যায় ইসরায়েলি নৌ কমান্ডোরা।
ইসরায়েলি দৈনিক হারেৎজ জানিয়েছে, তুরস্কে পাঠানো এই ১৩৭ জনের মধ্যে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, জর্ডান, কুয়েত, লিবিয়া, আলজেরিয়া, মৌরিতানিয়া, মালয়েশিয়া, বাহরাইন, মরক্কো, সুইজারল্যান্ড, তিউনিশিয়া ও তুরস্কের নাগরিক রয়েছেন।
গাজায় ইসরায়েলের অবৈধ নৌ অবরোধ ভাঙা, গাজার মানুষের কাছে সাহায্য পৌঁছে দেওয়া এবং সেখানকার মানুষের প্রতি অসহিংস সংহতি প্রকাশের জন্য ৪৫টি ছোটবড় জাহাজে করে বিভিন্ন দেশের ৫০০ অধিকারকর্মী গাজার দিকে রওনা দিয়েছিলেন। কিন্তু উপত্যকাটির উপকূলে পৌঁছার আগেই জাহাজগুলোতে হানা দিয়ে তাদের ধরে ইসরায়েলে নিয়ে যায় ইসরায়েলি নৌ কমান্ডোরা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, তুরস্কের বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে আছে একটি বিমান। এটির ভেতর ওই ১৩৭ অধিকারকর্মী রয়েছেন। তাদের তুরস্কের বিমানবন্দরে বরণ করে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছিল। ধারণা করা হচ্ছে তুরস্ক থেকে নিজ নিজ দেশে ফিরে যাবেন এসব অধিকারকর্মী।
তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, এই ১৩৭ জনের মধ্যে ৩৬ জন তার্কিস নাগরিক। এরআগে গতকাল চারজনকে ফেরত পাঠিয়েছিল ইসরায়েল।
ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে বলেছে, এই অধিকারকর্মীরা খুবই অল্প ত্রাণ নিয়ে এসেছিল। কিন্তু এগুলো ইসরায়েলের মাধ্যমে পৌঁছে দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেছেন তারা। তাদের দাবি, অধিকারকর্মীরা ত্রাণ দেওয়ার আড়ালে উস্কানি দিতে এসেছিলেন। আটক সব অধিকারকর্মীকে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে বলেও জানিয়েছে ইসরায়েলি মন্ত্রণালয়।
সূত্র: আল জাজিরা, রয়টার্স