মাঝপথেই থামল ফ্লোটিলার যাত্রা, শেষ জাহাজটিও আটক
-1030632.jpg?v=1.1)
অবরুদ্ধ গাজার মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিতে প্রায় ৪৫টি জাহাজে করে ৫০০ অধিকারকর্মী রওনা দিয়েছিলেন। তবে ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ নামে পরিচিত এই ঐতিহাসিক উদ্যোগ মাঝপথেই থামিয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি নৌবাহিনী। শেষ ভরসা হিসেবে থাকা ‘দ্য ম্যারিনেট’ নামের ইয়টটিও আটক করা হয়েছে, সঙ্গে আটক হয়েছেন ইয়টে থাকা ছয়জন আরোহী।
শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে আল জাজিরার লাইভস্ট্রিমে দেখা যায়, ইসরায়েলি কমান্ডোরা শক্তি প্রয়োগ করে পোল্যান্ডের পতাকাবাহী এ জাহাজে ওঠে পড়েছে।
জানা গেছে, ম্যারিনেটে ৬ জন ক্রু ছিলেন। এটিই ফ্লোটিলার ৪৫টি জাহাজের বিশাল বহরের শেষ সক্রিয় নৌযান, যা গাজার অবরুদ্ধ জনগণের জন্য ত্রাণ নিয়ে যাচ্ছিল।
ম্যারেনেট আটকের মধ্য দিয়ে ইসরায়েলি নৌবাহিনীর হাতে ফ্লোটিলার ঐতিহাসিক অভিযানের কার্যত সমাপ্তি ঘটল।
এর আগে, ফ্লোটিলার লাইভ ট্র্যাকার অনুযায়ী, শুক্রবার (০৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা পর্যন্ত আন্তর্জাতিক জলসীমায় প্রায় ২.১৬ নট (প্রায় ঘণ্টায় ৪ কিমি) গতিতে গাজা উপকূলের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল দ্য ম্যারিনেট। গাজা উপকূল থেকে এর দূরত্ব তখন ছিল ৮০ কিলোমিটার।
সে সময় জাহাজটির ক্যাপ্টেন এক ভিডিও বার্তায় জানান, জাহাজে ইঞ্জিনের সাময়িক সমস্যা দেখা দিয়েছিল, তবে তা সমাধান করা হয়েছে। স্টারলিংকের মাধ্যমে তারা যোগাযোগ রক্ষা করছিলেন এবং জাহাজের লাইভস্ট্রিমও চালু ছিল।
বুধবার (১ অক্টোবর) স্থানীয় সময় রাত থেকেই ফ্লোটিলার নৌযানগুলোতে অভিযান চালায় ইসরায়েল। ওইদিনই আটক করা হয় দুই শতাধিক যাত্রীকে। তাদের সবাইকে ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলের কেটজিওট কারাগারে রাখা হয়। আটকদের মধ্যে সুইডিশ পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও আছেন।
আটক হওয়ার আগে ধারণ করা একটি ভিডিওতে গ্রেটা বলেন, ইসরাইলি বাহিনী আমাকে জোরপূর্বক আটক করেছে এবং ইচ্ছার বিরুদ্ধে আমাকে ইসরাইলে নিয়ে আসা হয়েছে। আমাদের উদ্যোগ মানবিক, অহিংস ও আন্তর্জাতিক আইনের মধ্যেই ছিল। দয়া করে আমার দেশের সরকারকে বলুন যেন তারা আমার এবং অন্যদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি করে।
ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাবি, নৌবহরের যাত্রীরা সক্রিয় যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ করছেন এবং বৈধ অবরোধ লঙ্ঘন করছেন। আটকদের ইউরোপে পাঠানো হবে বলেও জানানো হয়।
এদিকে, তেল আবিবের এমন পদক্ষেপে তুরস্ক, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও কুয়েতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ নিন্দা জানিয়েছে। তবে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি বলছেন, এই জাহাজভরা ত্রাণে কোনো প্রভাব পড়বে না গাজা উপত্যকাবাসীর ওপর।