ইসরায়েলকে সাহায্যকারী ১৫৮ কোম্পানির তালিকা
-1270801.jpg?v=1.1)
গত ২৩ মাসের অধিক সময় ধরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। পাশাপাশি পশ্চিম তীরেও চালাচ্ছে তাণ্ডব। এবার অধিকৃত পশ্চিমতীরে অবৈধ ইসরাইলি বসতিতে কার্যক্রম চালানো কোম্পানিগুলোর একটি হালনাগাদ ডেটাবেজ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) জেনেভা থেকে প্রকাশিত এ তালিকায় এয়ারবিএনবি, বুকিং ডটকম, মটোরোলা সলিউশন্স এবং ট্রিপ অ্যাডভাইজরের মতো বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। খবর আল জাজিরার।
তালিকায় মোট ১১টি দেশের ১৫৮টি কোম্পানির নাম রয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই ইসরাইলভিত্তিক। বাকিগুলো কানাডা, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, লুক্সেমবার্গ, নেদারল্যান্ডস, পর্তুগাল, স্পেন, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক।
জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক এ প্রসঙ্গে বলেন, পশ্চিমতীরে ইসরাইলি বসতি স্থাপন নীতি ‘যুদ্ধাপরাধের শামিল’।
তিনি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলায় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
জাতিসংঘ জানায়, যেসব কোম্পানি বসতিতে নির্মাণকাজ, নজরদারি, উচ্ছেদ বা কৃষিজমি ধ্বংসের মতো কার্যক্রমে জড়িত- শুধুমাত্র তাদের তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
সংস্থাটি জোর দিয়ে বলেছে, এ তালিকা কোনও বিচারিক বা আধা-বিচারিক প্রক্রিয়া নয়, বরং সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্ববোধের বিষয়টি সামনে আনার চেষ্টা।
প্রথম তালিকা প্রকাশিত হয় ২০২০ সালে। শুরু থেকেই এ প্রক্রিয়া নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। তখন ইসরাইল এবং যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘের এ পদক্ষেপকে কঠোরভাবে সমালোচনা করে।
ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরাইল কাটজ এটিকে ‘একটি লজ্জাজনক আত্মসমর্পণ’ বলে মন্তব্য করেছিলেন।