গাজায় নিহতের সংখ্যা ৬২ হাজার ছুঁই ছুঁই
-1180832.jpg?v=1.1)
গত ২২ মাসের অধিক সময় ধরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। তাদের অব্যাহত হামলায় একদিনে কমপক্ষে আরও ৪৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর ফলে এই উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬২ হাজারে।
রোববার (১৭ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
এতে বলা হয়, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলায় প্রায় ৬২ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে শুধু গত ২৪ ঘণ্টায় অপুষ্টি ও অনাহারে আরও ৭ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভিন্ন হাসপাতালগুলোতে ৪৭টি মরদেহ আনা হয়েছে এবং আহত হয়েছেন আরও ২২৬ জন। এ নিয়ে ইসরায়েলি আগ্রাসনে মোট আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৮৮৬ জনে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বহু মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে রয়েছেন বা রাস্তায় পড়ে আছেন। উদ্ধারকর্মীরা সেখানে পৌঁছাতে পারছেন না, ফলে হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি হতে পারে।
মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মানবিক সহায়তা সংগ্রহের সময় ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে আরও ১৪ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১৩২ জনের বেশি আহত হয়েছেন। এ নিয়ে গত ২৭ মে থেকে এখন পর্যন্ত সাহায্য নেওয়ার সময় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯৩৮ জনে এবং আহত হয়েছেন ১৪ হাজার ৪২০ জনেরও বেশি।
এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় অপুষ্টি ও অনাহারে আরও ৭ জন ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ২ শিশু রয়েছে। এ নিয়ে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত অনাহার-সম্পর্কিত মোট মৃত্যু দাঁড়াল ২৫৮ জনে, যার মধ্যে ১১০ শিশু।
এর আগে, গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে আগ্রাসনের জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলার মুখোমুখিও হয়েছে ইসরায়েল। তবুও থেমে নেই তাদের বর্বরতা। এ নিয়ে বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় বইছে।