এবার গাজায় বিমান থেকে ত্রাণ ফেলল কানাডা
-1050650.jpg?v=1.1)
গত ২১ মাস ধরে ফিলিস্তিনের অধিকৃত গাজায় গণহত্যা ও জাতিগত নিধন চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। সেইসঙ্গে ত্রাণ প্রবেশে বাধা দেওয়ায় উপত্যকাজুড়ে দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে। এতে শত শত মানুষ মারা যাচ্ছে। পশুপ্রাণীও ধুঁকে ধুঁকে মারা যাচ্ছে। এবার অভুক্ত গাজাবাসীর জন্য বিমান থেকে খাদ্যসামগ্রী ফেলেছে কানাডা। পাশাপাশি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আবারও গাজায় আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে দেশটি। এই প্রথমবারের মতো কানাডার সামরিক বাহিনী নিজেদের বিমান থেকে গাজায় মানবিক সহায়তা ফেলেছে।
সোমবার (৪ আগস্ট) কানাডার সরকারি এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডার সহায়তায় কানাডার সশস্ত্র বাহিনী একটি সিসি-১৩০জে হারকিউলিস বিমান ব্যবহার করে গাজা ভূখণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ মানবিক ত্রাণ ফেলা হয়েছে। বিমান থেকে ২১ হাজার ৬০০ পাউন্ড ত্রাণ ফেলেছে সশস্ত্র বাহিনী।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, গাজার বাসিন্দাদের জন্য কানাডা, জর্ডান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিসর, জার্মানি এবং বেলজিয়াম মোট ১২০টি খাদ্য সহায়তার প্যাকেট ফেলেছে।
আগামী সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানায় কানাডার সরকার। এ ঘোষণার ফলে গাজায় চলমান অমানবিক যুদ্ধের অবসানে ইসরায়েলের ওপর চাপ বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কানাডা দাবি করছে, ইসরায়েলি বাধার মুখে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন দাতব্য সংস্থাগুলোর জন্য গাজায় মানবিক সহায়তা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।
দেশটির সরকার বলেছে, মানবিক সহায়তা কাজ বাধাগ্রস্ত করাটা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের লঙ্ঘন এবং তা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। তবে এই বিষয়ে অটোয়ায় নিযুক্ত ইসরায়েলি দূতাবাস তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য করেনি। যদিও ইসরায়েল যুদ্ধের শুরু থেকে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ অস্বীকার ও গাজায় মানবিক সংকটের জন্য হামাসকে দায়ী করে আসছে।
গত মার্চে গাজায় খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করে দেয় ইসরায়েল। পরবর্তীতে বিশ্ব নেতাদের সমালোচনার মুখে মে মাসে নিষেধাজ্ঞা আংশিকভাবে তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। তবে এই উপত্যকায় এখনও কিছু বিধি-নিষেধ জারি রেখেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।
সূত্র: রয়টার্স