ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে জড়ানোর ব্যাপারে যে মত মার্কিনিদের

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক জার্নাল আন্তর্জাতিক জার্নাল
প্রকাশিত: ১৮ জুন ২০২৫, ০৯:৫৪ AM

ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রের পরোক্ষ ভূমিকা এখন আর গোপন কোনো বিষয় নয়—বরং এক ধরনের ওপেন সিক্রেট। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে এই সংঘাতে মার্কিন সেনাবাহিনীর সরাসরি জড়িয়ে পড়ার শঙ্কাও বাড়ছে। বিশেষ করে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া আগ্রাসী মন্তব্যে সেই আশঙ্কা আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

এই প্রেক্ষাপটে, আমেরিকান জনসাধারণ আসলে এই যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততা কতটা চায়—তা জানতে একটি জরিপ চালায় আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা ইউগভ (YouGov)। জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় ৬০ শতাংশ আমেরিকান জানিয়েছেন, তারা চান না মার্কিন সেনারা এই সংঘাতে জড়াক। মাত্র ১৬ শতাংশ মার্কিন নাগরিক সরাসরি হস্তক্ষেপের পক্ষে মত দিয়েছেন, আর ২৪ শতাংশ বলেছেন, তারা এ বিষয়ে নিশ্চিত নন।

জরিপে আরও দেখা গেছে, ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে মার্কিন হস্তক্ষেপের বিরোধিতাকারী আছেন ৬৫ শতাংশ। আর রিপাবলিকানদের মধ্যে আছেন ৫৩ শতাংশ । অন্যদিকে, কোনো দলের নন, এমন নাগরিকদের প্রায় ৬১ শতাংশ চান না ইরানের সাথে যুদ্ধে জড়াতে।

জরিপে দেখা গেছে, আমেরিকানদের অর্ধেক জনগোষ্ঠীই মনে করেন, ইরান যুক্তরাষ্ট্রের শত্রু। আর ২৫ শতাংশ বলেছেন যে, সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ নয়।

প্রসঙ্গত, ইরানের আকাশসীমার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ও দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির অবস্থান শনাক্ত করার দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

মঙ্গলবার (১৭ জুন) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি বিবৃতি দিয়েছেন ট্রাম্প। এতে তিনি কোথায় খামেনি লুকিয়ে রয়েছেন তা শনাক্ত করার দাবি করেছেন। ট্রাম্প লিখেছেন, তিনি একটি সহজ লক্ষ্যবস্তু, কিন্তু সেখানে নিরাপদে আছেন- আমরা তাকে হত্যা করছি না, অন্তত এখন নয়।

পোস্টে তিনি আরও উল্লেখ করেন, আমরা চাই না ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে বেসামরিক নাগরিক বা আমেরিকান সৈন্যদের ওপর হামলা হোক। এরপর তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আমাদের ধৈর্য কমে আসছে।