মধ্যপ্রাচ্যে রণতরী পাঠাল যুক্তরাষ্ট্র
-1160704.jpg?v=1.1)
ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যকার সংঘাত দ্রুত পূর্ণমাত্রার যুদ্ধে রূপ নিচ্ছে। চলমান হামলা-পাল্টা হামলার মধ্যে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সহায়তা চেয়েছেন। এর পরপরই মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস নিমিটজ মধ্যপ্রাচ্যের উদ্দেশে রওনা হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এর আগেও ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন— যদি ইরান যুক্তরাষ্ট্রকে আক্রমণ করে, তবে তাদের যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক শক্তির পূর্ণ প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হতে হবে।
যদিও কয়েকটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যা করার একটি ইসরায়েলি পরিকল্পনা বন্ধ করেছিলেন ট্রাম্প। ট্রাম্প এই যুদ্ধ থেকে দূরে থাকার কথাও বলছেন। তবে আত্মরক্ষার জন্য প্রয়োজনে ইরানে হামলারও হুমকি দিয়ে রেখেছেন তিনি।
সোমবার (১৬ জুন) ভোরে ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলে আঘাত হানে, যার ফলে তেলআবিবে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপরই ট্রাম্প নতুন করে ইরানকে সতর্কবার্তা দেন।
এদিকে ইরান সৌদি আরব, পাকিস্তান, তুরস্কসহ মিত্র দেশগুলোকে নিয়ে একটি ‘ইসলামিক আর্মি’ গঠনের আহ্বান জানিয়েছে। ইরানের মতে, এই বাহিনী গঠন করা গেলে তা মধ্যপ্রাচ্যের চলমান সংঘাত মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। মুসলিম দেশগুলোর ঐক্য ও আত্মরক্ষার প্রয়োজনে এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে তারা।
উল্লেখ্য, ইসরায়েলের টানা হামলায় এখন পর্যন্ত ২২০ জনের বেশি ইরানি নাগরিক নিহত এবং অন্তত ১,২০০ জন আহত হয়েছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। তবে পাল্টা হামলা থেকে সরে আসার কোনো ইঙ্গিত দেয়নি ইরান। বরং দেশটি জানিয়েছে, তারা মিত্রদের সঙ্গে একটি ‘ইসলামি বাহিনী’ গঠন করে যুদ্ধ অব্যাহত রাখবে।
অন্যদিকে ইরানের পাল্টা হামলায় সোমবার পর্যন্ত অন্তত ২৪ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও অনেকে। ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করে তেল আবিব ও হাইফা শহরে আঘাত হানে। যার ফলে বহু ঘরবাড়ি ও আবাসিক ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে।