ইসরায়েলের ২ মন্ত্রীর নিষেধাজ্ঞা দিল ৫ দেশ
-1110959.jpg?v=1.1)
গাজায় ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে সহিংসতা উসকে দেওয়ার অভিযোগে ইসরায়েলের দুই কট্টর ডানপন্থি মন্ত্রীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাজ্যসহ পাঁচটি দেশ।
নিষেধাজ্ঞার ফলে ইতামার বেন-গভির এবং বেজালেল স্মোত্রিচ এখন থেকে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করতে পারবেন না এবং দেশটিতে তাদের কোনো সম্পদ থাকলে তা জব্দ করা হবে। দুই মন্ত্রীই এমন ডানপন্থি রাজনৈতিক দলের সদস্য, যারা প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর জোট সরকারকে সমর্থন দিয়ে টিকিয়ে রেখেছেন।
মঙ্গলবার (১০ জুন) যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ঘোষণা দেয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, একই ধরনের নিষেধাজ্ঞায় কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং নরওয়েও যুক্ত হয়েছে।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি বলেছেন, ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী স্মোত্রিচ এবং জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী বেন-গভির সহিংসতা ও ফিলিস্তিনি মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘনকে উসকে দিয়েছেন। তাদের কার্যক্রম গ্রহণযোগ্য নয়। এই কারণেই আমরা এখন ব্যবস্থা নিয়েছি, দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহি করতে।
নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিয়ন সার বলেন, এটা অত্যন্ত আপত্তিকর যে নির্বাচিত প্রতিনিধি এবং সরকারের সদস্যদের এ ধরনের ব্যবস্থার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। মন্ত্রিসভা পরবর্তী সপ্তাহে এর জবাব দেওয়ার জন্য বৈঠক করবে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, স্মোত্রিচ এবং বেন-গভির উভয়ই গাজায় যুদ্ধের ব্যাপারে তাদের অবস্থানের জন্য সমালোচিত হয়েছেন। স্মোত্রিচ গাজায় ত্রাণ প্রবেশের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়েছেন, অন্যদিকে বেন-গভির গাজাবাসীদের অন্যত্র স্থানান্তরের আহ্বান জানিয়েছেন।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, নিউজিল্যান্ড এবং নরওয়ের সঙ্গে, যুক্তরাজ্য স্পষ্টভাবে বলেছে যে পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের ক্রমবর্ধমান সহিংসতা এবং ভয়ভীতি বন্ধ করতে হবে।
যৌথ একটি বিবৃতিতে বলা হয়, স্মোত্রিচ এবং বেন-গভিরের বিরুদ্ধে নেওয়া ব্যবস্থাগুলো গাজার ঘটনাবলী থেকে বিচ্ছিন্নভাবে দেখা যায় না, যেখানে ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক মানবিক আইন মেনে চলতে হবে।