বিক্ষোভে উত্তাল লস অ্যাঞ্জেলেস

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক জার্নাল আন্তর্জাতিক জার্নাল
প্রকাশিত: ০৮ জুন ২০২৫, ০৩:৪৩ PM

যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেস শহরে নথিবিহীন শত শত অভিবাসী বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ট্রাম্প প্রশাসন সেখানে জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনী ন্যাশনাল গার্ডের ২ হাজার সদস্য মোতায়েন করেছে।

এই তথ্য জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সীমান্ত বিষয়ক উপদেষ্টা টম হোমান এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ। শনিবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে টম হোমান বলেন, “নাগরিকদের নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আমরা লস অ্যাঞ্জেলেসকে আরও নিরাপদ শহর হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।”

একই দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ বলেছেন, “মার্কিন নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য ন্যাশনাল গার্ডকে নামানো হয়েছে। যদি এতে পরিস্থিতির উন্নতি না হয়, তাহলে লস অ্যাঞ্জেলেসের নিকটস্থ পেন্ডেলটন সেনা ছাউনি থেকে মেরিন সেনাদের একটি দল এসে দায়িত্ব গ্রহণ করবে। তাদেরকে সে রকম নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

এদিকে ট্রাম্প প্রশাসনের এ পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেছেন ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসাম। এক বিবৃতিতে এ অভিযানকে ‘নিষ্ঠুর’ উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, “ট্রাম্প প্রশাসন সচেতনভাবে উত্তেজনা ছড়িয়ে দিচ্ছে। ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের পদক্ষেপ একটি ভুল সিদ্ধান্ত এবং এর জেরে প্রশাসনের ওপর জনগণের আস্থা হ্রাস পাবে।”

গত ৬ জুন শুক্রবার লস অ্যাঞ্জেলেসে নথিবিহীন অভিবাসীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করতে অভিযানে নামে ক্যালিফোর্নিায় পুলিশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের কাস্টমস বিভাগের আইনপ্রয়োগকারী বাহিনী ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই)। সেই অভিযান চলাকালে লস অ্যাঞ্জেলেসের উপশহর প্যারামাউন্টে পুলিশ ও আইসিই সদস্যদের সঙ্গে সংঘাত শুরু হয় অভিবাসনপ্রত্যাশীদের। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সংঘাতের ব্যাপ্তি ও তীব্রতা বাড়তে থাকায় গতকাল শনিবার লস অ্যাঞ্জেলেসে ২ হাজার ন্যাশনাল গার্ড সদস্য মোতায়েন করা হয়।

ট্রাম্পের সীমান্ত বিষয়ক উপদেষ্টা টম হোমান বর্তমানে লস অ্যাঞ্জেলেসে অবস্থান করছেন। সেখান থেকেই ফক্স নিউজকে তিনি বলেন, “অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান থাকবে। যারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলা চালাবেন কিংবা সরকারি সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি করবেন, তাদের প্রতি জিরো টলারেন্স প্রদর্শনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

সূত্র : বিবিসি, সিএনএন