ভারতের সম্ভাব্য আক্রমণ

দেশবাসীকে মানসিকভাবে 'প্রস্তুত' থাকতে বললেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক জার্নাল আন্তর্জাতিক জার্নাল
প্রকাশিত: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১০:২৭ AM

ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধের দিকে যাচ্ছে কি না—সে বিষয়ে ইঙ্গিত পাওয়ার জন্য আগামী দুই থেকে তিন দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহম্মদ আসিফ। তিনি এ বিষয়ে দেশবাসীকে মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

ভারতের জম্মু ও কাশ্মিরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলাকে কেন্দ্র করে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে যে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আন্তর্জাতিক ও উপমহাদেশীয় রাজনীতি বিশ্লেষকদের একটি অংশ। তাঁদের আশঙ্কা, এই উত্তেজনা শেষ পর্যন্ত সরাসরি সংঘাতে রূপ নিতে পারে।

পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহম্মদ আসিফও এমন আশঙ্কা করছেন। সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্সকে প্রদান করা এক সাক্ষাৎকারে ‘ভারতের সামরিক আক্রমণ আসন্ন’ বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।

তার এই সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হওয়ার পর পাকিস্তানের দু’টি সংবাদমাধ্যম সামা টিভি ও জিও নিউজ তার সঙ্গে যোগাযোগ করে এ ইস্যুতে আরও বিস্তারিত তথ্য জানতে চায়। জিও নিউজ তিনি বলেন, “আগামী দু’-তিন দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি সত্যিই কিছু ঘটে কিংবা শুরু হয়, তাহলে আগামী দু’-তিন দিনের মধ্যে তা হবে; আর যদি এই সময়সীমার মধ্যে কিছু না ঘটে— তাহলে বুঝে নিতে হবে যে একটি বড় বিপদ আমরা এড়াতে পেরেছি।”

আর সামা টিভিকে তিনি বলেন, “এই অঞ্চলে একটি যুদ্ধের আশঙ্কা দানা বাঁধছে এবং আগামী দু’তিন দিনের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়ে যাওয়ার সমূহ আশঙ্কা রয়েছে। আমাদের সবারই এখন মানসিকভাবে প্রস্তুত হওয়া প্রয়োজন।”

গত ২২ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে ভারতের জম্মু ও কাশ্মির রাজ্যের পেহেলগাঁও জেলার বৈসরণ তৃণভূমিতে পর্যটকদের ওপর হামলা চালায় কাশ্মিরভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই তৈয়বার উপশাখা দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট।

স্বয়ংক্রিয় রাইফেল নিয়ে হামলাকারীরা অন্তত ২৬ পর্যটককে গুলি করে হত্যা করেছে। তাদের গুলিতে আরও বেশ কয়েকজনকে আহত হন। যাদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, তারা সবাই পুরুষ। বস্তুত, ২২ এপ্রিলের হামলা ছিল ২০১৯ সালের পুলোয়ামা হামলার পর জম্মু ও কাশ্মিরে সবচেয়ে বড় প্রাণঘাতী হামলা।

ভয়াবহ এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে ভারত এবং তাৎক্ষণিকভাবে দেশটির সিন্ধু নদের পানিবন্টন চুক্তি স্থগিতসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়। পাল্টা জবাব হিসেবে ভারতের জন্য নিজেদের স্থল ও আকাশসীমা বন্ধসহ একাধিক পদক্ষেপ নেয় পাকিস্তানও।

এছাড়া কাশ্মির সীমান্তে ভারত ও পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মধ্যে গত তিন দিন ধরে গুলি বিনিময় চলছে। বেশ কয়েকজন ইতোমধ্যে নিহতও হয়েছেন।

এই পরিস্থিতিতেই রোববার রয়টার্সকে সাক্ষাৎকার দেন খাজা আসিফ এবং ‘ভারতের সামরিক হামলা আসন্ন’ বলে মন্তব্য করেন।

সূত্র : ডন