এইচএমপিভি ভাইরাস রোধে করণীয়

নিজস্ব প্রতিবেদক
জার্নাল ডেস্ক জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৩৬ AM
২০০১ সালে হিউম্যান মেটাপনিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) প্রথম শনাক্ত হলেও সম্প্রতি এই রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। এটি আবারও একটি গুরুতর হুমকি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। চীন, জাপান, মালয়েশি, ভারতের পর বাংলাদেশে সনাক্ত হয়েছে এইচএমপিভি রোগী। এই ভাইরাসটি সব বয়সী মানুষকে সংক্রামিত করতে পারে, তাই এর বিস্তার রোধে সতর্কতা অবলম্বন করা অত্যন্ত জরুরি। এইচএমপিভি মূলত শ্বাসযন্ত্রের ফোঁটা দ্বারা ছড়ায়, তাই স্বাস্থ্যবিধি এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাগুলো অনুসরণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই ভাইরাসের বিস্তার রোধে কিছু মূল নির্দেশনা নিম্নরূপ:

১. হাত পরিষ্কার রাখা
কোভিড-১৯ আমাদের শেখায় যে, হাত ধোয়ার মাধ্যমে ভাইরাসের বিস্তার কমানো সম্ভব। নিয়মিত এবং ভালোভাবে হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন, বিশেষত সাবান এবং পানি দিয়ে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধুয়ে নিন। যদি সাবান এবং পানি না থাকে, তবে অ্যালকোহল-বেজড হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন। অপরিষ্কার হাত দিয়ে চোখ, নাক বা মুখ স্পর্শ থেকে বিরত থাকুন।

২. মাস্ক পরা
মাস্ক পরলে ভাইরাস ছড়ানোর ঝুঁকি কমানো যায়। নিশ্চিত করুন যে, আপনার মাস্কটি সঠিকভাবে নাক ও মুখ ঢেকে রাখছে এবং কাশি বা হাঁচি দেয়ার সময় আক্রান্ত ব্যক্তির কাছ থেকে দূরে থাকুন।

৩. রেসপিরেটরি ম্যানার্স
কাশি বা হাঁচি দেয়ার সময় টিস্যু বা কনুই দিয়ে মুখ ও নাক ঢেকে রাখুন। ব্যবহৃত টিস্যু দ্রুত দূরে ফেলে দিন এবং হাত স্যানিটাইজ করুন।

৪. বারবার স্পর্শ করা জায়গাগুলো পরিষ্কার করা
দরজার হাতল, আলোর সুইচ, স্মার্টফোন, কীবোর্ড ইত্যাদি যেগুলো নিয়মিত স্পর্শ করা হয়, সেগুলো নিয়মিত জীবাণুমুক্ত করুন। সঠিক জীবাণুনাশক ব্যবহার করে নিশ্চিত করুন যে ভাইরাসটি দূর হয়ে গেছে।

৫. অসুস্থ ব্যক্তির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ এড়ানো
যদি আপনার বা আপনার পরিবারের কারো শ্বাসকষ্টজনিত কোনো উপসর্গ থাকে, তাহলে তার সাথে যোগাযোগ এড়িয়ে চলুন। এইচএমপিভির কোনো লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

৬. অসুস্থ হলে বাড়িতে থাকা
যদি আপনি জ্বর, কাশি বা শ্বাসকষ্ট অনুভব করেন, তবে জনসাধারণের স্থান থেকে দূরে থাকুন এবং যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসা নিন। ডাক্তারের পরামর্শ অনুসরণ করুন।

৭. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখা
তাজা ফল, শাক-সবজি এবং হোল গ্রেইনসহ সুষম খাদ্য, পর্যাপ্ত পানি এবং নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক। সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে আপনার শরীরের শক্তি বজায় রাখুন।

এই পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করে এইচএমপিভি এবং অন্যান্য ভাইরাসের বিস্তার কমানো সম্ভব, তাই সতর্ক থাকুন এবং নিজের এবং অন্যদের সুরক্ষায় এগুলো পালন করুন।