৭ কলেজ নিয়ে গঠিত হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়, নাম চূড়ান্ত
-1160214.jpg?v=1.1)
অবশেষে সাত কলেজ নিয়ে গঠিত হচ্ছে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়। ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ নামে রাজধানীর সরকারি সাত কলেজ নিয়ে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম চূড়ান্ত হয়েছে।
আজ রবিবার (১৬ মার্চ) ইউজিসিতে শিক্ষার্থীদের ৩২ সদস্যের প্রতিনিধি দল নিয়ে সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এর আগে, রাজধানীর নতুন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নিয়ে প্রতিনিধি দলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দুটি মত দেয়া হয়। এর মধ্যে ১৭ জন ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির পক্ষে মত দেন। তবে, অন্য শিক্ষার্থীরা এই নামের পক্ষে সায় দেননি। তারা বলেন, ঢাকা কলেজের পূর্ব নাম ছিল ঢাকা সেন্ট্রাল কলেজ। তাই তারা ফেডারেল ইউনিভার্সিটি নামের পক্ষে মত দেন। পরে ইউজিসি তাদের নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে বললে শিক্ষার্থী প্রতিনিধি দল নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির পক্ষে মত দেন।
এর আগে গত ১৩ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপপরিচালক মো. জামাল উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সাত কলেজের নামকরণ-সংক্রান্ত বিষয়ে ছাত্র প্রতিনিধিদের টিম লিডারদের মতবিনিময় সভা আয়োজনের ঘোষণা দেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাত কলেজের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় সমকক্ষ একটি স্বতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর রূপরেখা প্রদানের লক্ষ্যে কমিশনের চেয়ারম্যান মহোদয়ের সভাপতিত্বে কনফারেন্স রুমে ১৬ মার্চ সকাল ১০টায় প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরণ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
প্রসঙ্গত, প্রচলিত শিক্ষার মানোন্নয়ন, সময়োপযোগী শিক্ষাপদ্ধতি প্রণয়নসহ বিভিন্ন বিষয় সামনে রেখে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। কলেজ সাতটি হচ্ছে— ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, মিরপুর বাঙলা কলেজ এবং সরকারি তিতুমীর কলেজ।
পরে কলেজগুলো পরিচালনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন অনিয়ম ও অদূরদর্শিতার অভিযোগের ধারাবাহিকতায় গত বছরের অক্টোবর থেকে দীর্ঘ আন্দোলনে নামেন কলেজের শিক্ষার্থীরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত বাতিল ও সরকারের পক্ষ থেকে ডিসেম্বর মাসে গঠন করা হয় বিশেষ কমিটি। ওই কমিটির সদস্যরা দীর্ঘ তিন মাসের বেশি সময় ধরে সম্ভাব্যতা যাচাই, ক্যাম্পাস পরিদর্শন, সম্মানজনক পৃথকীকরণের রূপরেখা প্রণয়ন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠকসহ বিভিন্ন কাজ করেছেন। সর্বশেষ গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনের কাছে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আহ্বান করে ইউজিসি।