রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনেটের ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনে জয়ী হলেন যারা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক   নিজস্ব প্রতিবেদক  
প্রকাশিত: ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:০৯ PM

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের পাশাপাশি ৩৫ বছর পর অনুষ্ঠিত হয়েছে সিনেটের ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচন। ১৬ অক্টোবর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এই নির্বাচন ছিল দীর্ঘ বিরতির পর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।

সিনেটের পাঁচটি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৫৮ জন প্রার্থী। এর মধ্যে রাকসুর শীর্ষ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা চারজন প্রার্থী সিনেটেও জয়ী হয়েছেন। নির্বাচিত পাঁচজনের মধ্যে তিনজনই ইসলামী ছাত্রশিবির–সমর্থিত প্যানেলের বলে জানা গেছে।

নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন সালাহউদ্দিন আম্মার, মোস্তাকুর রহমান (জাহিদ), ফজলে রাব্বি মো. ফাহিম রেজা, আকিল বিন তালেব ও এস এম সালমান সাব্বির। তাঁদের মধ্যে শিবির–সমর্থিত প্যানেল থেকে মোস্তাকুর রহমান রাকসুর ভিপি এবং এস এম সালমান সাব্বির এজিএস পদে জয়ী হয়েছেন। ফজলে রাব্বি মো. ফাহিম রেজা একই প্যানেল থেকে জিএস পদে লড়লেও সেখানে পরাজিত হন।

অন্যদিকে সালাহউদ্দিন আম্মার ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেল থেকে রাকসুর জিএস নির্বাচিত হয়েছেন। আকিল বিন তালেব স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সিনেট সদস্য হয়েছেন। সালাহউদ্দিন, ফাহিম রেজা ও আকিল—তিনজনই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সমন্বয়ক ছিলেন।

ভোটের হিসাবে সালাহউদ্দিন আম্মার সর্বোচ্চ ১২ হাজার ৮৩৩ ভোট পেয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেন। মোস্তাকুর রহমান পান ৯ হাজার ৪৬৭ ভোট। তৃতীয় স্থান অধিকার করেন ফজলে রাব্বি মো. ফাহিম রেজা, যিনি পান ৮ হাজার ২০৫ ভোট। আকিল বিন তালেব ৫ হাজার ৭০৭ ভোট এবং এস এম সালমান সাব্বির ৪ হাজার ৬৯০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৭৩ সালের অধ্যাদেশ অনুযায়ী, সিনেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম। এখানেই উপাচার্য নির্বাচনের সুপারিশ, বাজেট অনুমোদন, আইন সংশোধন এবং নতুন বিভাগ বা ইনস্টিটিউট চালুর মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

দীর্ঘ সময় সিনেট অকার্যকর থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ সিদ্ধান্ত এত দিন নেওয়া হতো সিন্ডিকেট সভায়। সর্বশেষ সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচন হয়েছিল ১৯৮৯ সালে। এরপর কয়েকবার সিনেটের সভা হলেও তাতে কোনো ছাত্র প্রতিনিধি ছিলেন না।

বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে সদস্য সংখ্যা ১০৫। এর মধ্যে রয়েছেন উপাচার্য, দুই সহ–উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রারসহ সরকার, সংসদ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা। ছাত্র, শিক্ষক ও রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েটরা নির্বাচনের মাধ্যমে সিনেটে প্রতিনিধিত্ব করেন।