মার্চ টু যমুনার প্রস্তুতি

নিজস্ব প্রতিবেদক
জার্নাল ডেস্ক জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৩৩ PM

মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়াসহ তিন দফা দাবিতে টানা পঞ্চম দিনের মতো আন্দোলন করছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। দাবি পূরণ না হলে আজ ‘মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন তারা। আন্দোলনের অংশ হিসেবে লং মার্চের প্রস্তুতিও চলছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে দেখা যায়, কয়েক হাজার শিক্ষক-কর্মচারী স্লোগানে মুখর করছেন এলাকা। তাদের কণ্ঠে ধ্বনিত হচ্ছে, “২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া দিতে হবে, দিতে হবে”, “বাংলার শিক্ষক, এক হও এক হও”, “শিক্ষকদের সঙ্গে প্রহসন, মানি না, মানি না”।

আন্দোলনকারী শিক্ষক-কর্মচারীরা জানিয়েছেন, আজ দুপুরে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনমুখী ‘মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি তারা বাস্তবায়ন করবেন।

এর আগে বুধবার (১৫ অক্টোবর) অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে আন্দোলনকারীদের ১০ শতাংশ বাড়ি ভাতা দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের যুগ্ম সদস্যসচিব আবুল বাশার।

শিক্ষকরা স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে। ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া, ১ হাজার ৫০০ টাকা মেডিকেল ভাতা এবং কর্মচারীদের জন্য ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতার প্রজ্ঞাপন জারি না করা পর্যন্ত তারা শ্রেণি কার্যক্রমে অংশ নেবেন না।

এর আগে, মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে ও পুলিশের বলপ্রয়োগের প্রতিবাদে সোমবার সকাল থেকে সারাদেশের সব বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। ফলে দেশের বিভিন্ন স্থানে স্কুল–কলেজে ক্লাস কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।

আন্দোলনরত শিক্ষকরা জানান, সরকারের প্রস্তাবিত বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধির হার ‘অপর্যাপ্ত ও অবাস্তব’। তারা মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে ভাতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সর্বজনীন বদলি নীতি বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন।

গত রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে পুলিশ শিক্ষকদের সরাতে গেলে ধস্তাধস্তি ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে সংগঠনের নেতাদের আহ্বানে শিক্ষকরা শহীদ মিনারে অবস্থান নেন এবং সেখান থেকেই লাগাতার আন্দোলনের ঘোষণা দেন।

রোববার ও সোমবার রাতভর রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করেন শিক্ষকরা। কেউ প্লাস্টিকের চট বিছিয়ে, কেউ ব্যানার মাথার নিচে দিয়ে রাত কাটান। তাদের দাবি, প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি ও আন্দোলন চলবে।