বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী ইউরোপের দেশ ফিনল্যান্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক
জার্নাল ডেস্ক জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৯ PM

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট শপথ নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এর পর থেকে সরকারের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ জানিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। এবার ফিনিশ ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগ নিয়ে বাংলাদেশে আসতে আগ্রহী বলে জানান ঢাকায় নিযুক্ত ফিনল্যান্ডের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত কিমো লাহদেভির্তা।

আজ রবিবার (৩ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ আগ্রহের কথা জানান ঢাকায় নিযুক্ত ফিনল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত। তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয় বলে জানিয়েছে প্রেস উইং।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি তার সরকারের পূর্ণ সমর্থন এবং দেশের সংস্কারে অবদান রাখার ইচ্ছা প্রকাশ করেন ফিনল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত।

এ সময় অধ্যাপক ইউনূস ছাত্র বিপ্লব এবং সংস্কার কমিশনের কাজ এবং তার সরকারের কাছ থেকে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার কথা বলেন।

তিনি উল্লেখ করেন, স্বৈরশাসক দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় বাংলাদেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়েছিল, তবে দ্রুত এবং কঠোর সংস্কার পদক্ষেপ ইতোমধ্যে পরিস্থিতি স্থিতিশীল করতে সহায়তা করেছে। রিজার্ভ বাড়ছে এবং সরকার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে হাত না দিয়েই আন্তর্জাতিক বিভিন্ন দেনা পরিশোধ শুরু করেছে।

ফিনল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত জানান, রাষ্ট্রদূত তাদের দেশে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও দক্ষ কর্মী নিয়োগ এবং এআই, সাইবার নিরাপত্তা এবং কোয়ান্টাম কম্পিউটিং খাতে সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ফিনল্যান্ড আগ্রহী।

রাষ্ট্রদূত লাহদেভির্তা জানান, কক্সবাজারে একটি ফিনিশ প্লাস্টিক রিসাইক্লিং কোম্পানি করতে আগ্রহী ফিনল্যান্ড। এই কোম্পানির মাধ্যমে কক্সবাজারের ব্যবহৃত প্লাস্টিককে প্লাস্টিক শিটে পরিণত করবে এবং তা পুনর্ব্যবহার করা হবে। যা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রয়কেন্দ্রে ব্যবহার করা যেতে পারে।

রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ফিনল্যান্ড সরকার বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের জন্য এক মিলিয়ন ইউরো এবং আরও এক মিলিয়ন ইউরো সুশীল সমাজের মাধ্যমে দেবে।

প্রধান উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূতকে তার দায়িত্ব পালনে বাংলাদেশ সরকারের সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

এছাড়া, বৈঠকে ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণবিপ্লব, অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার উদ্যোগ, বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং আঞ্চলিক ভূ-রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।