রিজার্ভ ব্যয় না করে দেড় বিলিয়ন ডলার ঋণ শোধ হলো যেভাবে

নিজস্ব প্রতিবেদক
অনলাইন ডেস্ক অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: ২০ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:০৮ PM

ব্যাংকগুলোর বর্তমান পরিস্থিতি  উন্নতির কারণ এখন অধিকাংশ ব্যাংকে ডলারের মজুত বেড়েছে। পাশাপাশি যে কৌশলে  রিজার্ভ মজুদ রেখে বিদেশি বকেয়া পরিশোধ জানালেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর 

দেশের ব্যাংকগুলোতে টাকার সংকট থাকলেও এখন ডলারের সংকট নেই। অর্থপাচার ঠেকানোর পাশাপাশি দুর্নীতি কমায় আন্তব্যাংকে ডলারের সরবরাহ বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে রিজার্ভে হাত না দিয়ে গত দুই মাসে আন্তব্যাংক থেকে ডলার নিয়ে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের দেড় বিলিয়ন ডলার বকেয়া পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর শনিবার (১৯ অক্টোবর) বলেন, আগে ব্যাংকগুলোতে ডলারের সংকট ছিল। এখন অধিকাংশ ব্যাংকে ডলারের মজুত বেড়েছে। তিনি বলেন, টাকার সংকট থাকলেও ব্যাংকগুলোতে এখন ডলারের সংকট নেই। তিনি উল্লেখ করেন, প্রবাসীরা মূলত ব্যাংকে ডলার পাঠায় রেমিট্যান্স আকারে। রফতানি আয়ের টাকাও প্রথমে ব্যাংকেই জমা হয়। অর্থাৎ ডলার প্রথমে ব্যাংকগুলোতেই জমা থাকে। তারপর প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যাংকগুলো এলসি খোলে অথবা বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ডলার বিক্রি করে দেয়।  কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে ডলার কিনে রিজার্ভে জমা করে।

আহসান এইচ মনসুর বলেন, ব্যাংকগুলো থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলার কিনে, আবার বিক্রিও করে। কিন্তু আমি রিজার্ভ থেকে কোনও ডলার বিক্রি করছি না।

যেভাবে দেনা পরিশোধ করা হলো তার ব্যাখ্যায় গভর্নর বলেন, ধরেন ইসলামী ব্যাংকে প্রচুর রেমিট্যান্স আসার কারণে সেখানে উদ্বৃত্ত ডলার আছে। কিন্তু তাদের কাছে টাকা নেই। আমরা সোনালী ব্যাংককে বা রূপালী ব্যাংককে বলেছি সমপরিমাণে টাকা দিয়ে ইসলামী ব্যাংক থেকে ডলার নিয়ে সারের বকেয়া পরিশোধ করতে। তারা তাই করেছে। আগে বাংলাদেশ ব্যাংক সোনালী বা রূপালী ব্যাংককে রিজার্ভ থেকে ডলার দিতো। এই দুই মাসে রিজার্ভে হাত দিতে হয়নি।

তিনি বলেন, ডলার সংকটের কারণে আগের গভর্নরের সময়ে আদানি, কাফকোসহ, শেভরন ও বিপিসিকে সরবরাহকারী বেশকিছু বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে বকেয়া পড়ে যায় সোয়া দুই বিলিয়ন ডলারের ওপরে। গত দুই মাসে আন্তব্যাংক থেকে ডলার নিয়ে দেনা পরিশোধ করা হয়েছে। তিনি বলেন, এখনও ৪০০ মিলিয়ন ডলার দেনা আছে। আশা করছি, অচিরেই এই দেনাও পরিশোধ হবে রিজার্ভে হাত না দিয়েই। অর্থপাচার ঠেকানোর পাশাপাশি দুর্নীতি কমেছে এই কারণে আন্তব্যাংকে ডলারের সরবরাহ বেড়েছে বলে জানান তিনি।