রমজানে যেসব জায়গায় সুলভ মূল্যে দুধ-ডিম-মাংস বিক্রি করছে সরকার
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে রমজান শুরু হবে ১২ মার্চ। আসন্ন এই রমজান উপলক্ষ্যে সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম, মাছ, মাংস বিক্রি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আজ রবিবার (১০ মার্চ) সকালে রাজধানীর খামারবাড়ীতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর প্রাঙ্গণে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান। প্রথম রোজা থেকে শুরু হয়ে ২৮ রমজান পর্যন্ত ঢাকার ২৫টি স্থানে এসব পণ্য বিক্রি করা হবে।
ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়কেন্দ্রগুলোতে এবার গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬০০ টাকা, খাসির মাংস প্রতি কেজি ৯০০ টাকা, ড্রেসড (চামড়া ছাড়া) ব্রয়লার প্রতি কেজি ২৫০ টাকা, দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা ও ডিম প্রতিটি ৯ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া দুই সিটির পাঁচ জায়গায় অস্থায়ী দোকানে ৬৫০ কেজিতে গরুর মাংস ও আট জায়গায় সুলভ মূল্যে মাছ বিক্রি হবে। গরু, খাসি, মুরগির মাংস এক কেজি করে কিনতে পারবেন ক্রেতারা।
গত রোজায় গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬৪০ টাকা, খাসির মাংস প্রতি কেজি ৯৪০ টাকা ও ডিম প্রতি পিস ১০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ৩৮ কর্মকর্তা ১০টি টিম পুরো কার্যক্রম দেখভাল করবেন।
ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্রগুলো হলো- নতুনবাজার (বাড্ডা), কড়াইল বস্তি (বনানী), খামারবাড়ী (ফার্মগেট), আজিমপুর মাতৃসদন (আজিমপুর), গাবতলী, দিয়াবাড়ী (উত্তরা), জাপান গার্ডেন সিটি (মোহাম্মদপুর), ষাটফুট রোড (মিরপুর), খিলগাঁও (রেল ক্রসিংয়ের দক্ষিণে), সচিবালয়ের পাশে (আব্দুল গনি রোড), সেগুনবাগিচা (কাঁচাবাজার), আরামবাগ (মতিঝিল), রামপুরা, কালসী (মিরপুর), যাত্রাবাড়ী (মানিকনগর গলির মুখে), বসিলা (মোহাম্মদপুর), হাজারীবাগ, লুকাস (নাখালপাড়া), আরামবাগ (মতিঝিল), কামরাঙ্গীর চর, মিরপুর ১০, কল্যাণপুর (ঝিলপাড়া), তেজগাঁও, পুরান ঢাকা (বঙ্গবাজার) কাকরাইল।
স্থায়ী বাজার: মিরপুর শাহ আলি বাজার, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, নতুন বাজার (১০০ ফুট), কমলাপুর, কাজি আলাউদ্দিন রোড (আনন্দবাজার)।
অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, প্রাণিজাত পণ্যগুলো বিক্রয়ের জন্য সুসজ্জিত পিকআপ কুলভ্যান ব্যবহার করা হবে। প্রতিটি বিক্রয় কেন্দ্রে সকাল ৯টার মধ্যে প্রাণিজাত পণ্য নিয়ে কুলভ্যানগুলো পৌঁছে যাবে এবং সকাল ১০টা থেকে বিক্রয় হবে।
উদ্বোধন করে প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান বলেন, শেখ হাসিনার বাংলাদেশে কেউ ভাত ও মাছের কষ্ট পাবেন না। যে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে, সেটার প্রভাব বাজারে পড়বে বলে মনে করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক, সচিব সেলিম উদ্দিন, বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইমরান।