তীব্র শীত উপেক্ষা করে মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীরা
জমে উঠেছে ঢাকা বাণিজ্য মেলা, ব্যবসায়ীদের মুখে স্বস্তির হাসি
নারায়ণগঞ্জের পূর্বাচলে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় প্রথম দিকে ক্রেতাদের চাপ ছিল কম। এতে দুশ্চিন্তায় ছিলেন বিক্রেতারা। শেষ পর্যন্ত খরা কাটিয়ে বাড়ছে ক্রেতার সংখ্যা। বিশেষ করে ছুটির দিনে লোকে লোকারণ্য থাকে মেলা।
এবার তীব্র শীত উপেক্ষা করে বিভিন্ন স্থান থেকে ছুটে এসেছেন ক্রেতা-দর্শনার্থীরা। সব বয়সের ক্রেতা ও দর্শনার্থীর পদচারণায় জমে উঠেছে এই বাণিজ্য মেলা।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) পূর্বাচলে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিভিশন সেন্টারে ২৮তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় দেখা যায়, মেলার দ্বিতীয় দিনে সকাল থেকে আসতে শুরু করেন দর্শনার্থীরা। কেউবা আসছেন দেখতে, কেউবা পরিবারসমেত আসছেন কেনাকাটা করতে।
প্রতি বছর ১ জানুয়ারি থেকে বাণিজ্য মেলা শুরু হলেও এবার নির্বাচনের কারণে পিছিয়ে যায় মেলা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ইপিবি যৌথভাবে এ মেলার আয়োজন করে। ২০২২ সাল থেকে পূর্বাচলে স্থায়ী কেন্দ্র বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিভিশন সেন্টারে বাণিজ্য মেলা আয়োজন করা হচ্ছে।
এবারের আয়োজনে বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্যাভিলিয়ন ও স্টলের সংখ্যা ৩৫১টি। এ ছাড়া দুই হলে ১৭৪টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে রয়েছে রেস্তোরাঁ, মসজিদ, ব্যাংক, এটিএম বুথ, শিশুপার্ক, মা ও শিশু কেন্দ্র।
মেলা উপলক্ষে কুড়িল থেকে মেলার ভেন্যু পর্যন্ত যাত্রীদের আনা-নেওয়ার জন্য ৫০টি শাটল বাস চলাচল করছে। বাসের ভাড়া যাত্রীপ্রতি ৩৫ টাকা, বিকাশের মাধ্যমে ভাড়া পরিশোধ করলে যাত্রীরা ৫০ শতাংশ ছাড় পাচ্ছেন।
মেলায় প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৪০ টাকা এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ২০ টাকা প্রবেশ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রবেশ মূল্য ফ্রি।
মেলা খোলা থাকে সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। তবে ছুটির দিনে এক ঘণ্টা বাড়িয়ে সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকে।