দেশের বাজারে দাম বৃদ্ধির একদিন পরেই কমল স্বর্ণের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক
জার্নাল ডেস্ক জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৫২ PM

গতকাল বুধবার দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বৃদ্ধি করে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। এর ফলে দেশের ইতিহাসে রেকর্ড দাম হয়ে যায়। তবে বৃদ্ধির পরের দিন দেশের বাজারে স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি।

বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) বাজুস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ভালো মানের ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৭৫০ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ১০ হাজার ৬৯১ টাকা নির্ধারণ করা হলো।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৫ হাজার ৬৭৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৯০ হাজার ৫৭০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম ৭৫ হাজার ৪৬৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম কমানো হয়েছে। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) থেকে এই দাম কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে বাজুস।

এ ছাড়া স্বর্ণের দাম পরিবর্তন হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রূপার দাম।

এর আগে, বুধবার (১৭ জানুয়ারি) ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১২ হাজার ৪৪১ টাকা, ২১ ক্যারেটের ১ লাখ ৭ হাজার ৩০৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৯২ হাজার ২৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ৭৬ হাজার ৬৩২ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

এদিকে গত মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম কমে যায়। এদিন স্পট মার্কেটে বৈশ্বিক বেঞ্চমার্ক স্বর্ণের দাম কমেছে শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ। প্রতি আউন্সের দর স্থির হয়েছে ২০৪১ ডলার ০৯ সেন্টে। একই কর্মদিবসে ফিউচার মার্কেটে ইউএস বেঞ্চমার্ক স্বর্ণের মূল্য কমেছে শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ। আউন্সপ্রতি দাম নিষ্পত্তি হয়েছে ২০৪৫ ডলারে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের (ফেড) নীতি-নির্ধারকরা চলতি সপ্তাহে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন। গুরুত্বপূর্ণ এ বৈঠকে জানানো হবে, চলমান ২০২৪ সালে সুদের হার বাড়বে না কমবে। সেদিকে নজর রাখছেন বিনিয়োগকারীরা।

স্বর্ণে বিনিয়োগে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বিনিয়োগকারীরা। আর এতেই গুরুত্বপূর্ণ ধাতুটির দাম কমেছে। এই প্রেক্ষাপটে ইউএস ডলারের মান বেড়েছে। সেই সঙ্গে মার্কিন ট্রেজারি ইল্ড ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে।

বিশ্বখ্যাত আর্থিক প্রতিষ্ঠান অ্যাক্টিভ ট্রেডসের জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক রিকার্ডো ইভানজেলিস্তা বলেন, ইতোমধ্যে ডলার শক্তিশালী হয়েছে। এতেই স্বর্ণের দরপতন ঘটেছে।