পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে বাজারে ডিবি পুলিশ
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থা ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড এক বিজ্ঞপ্তিতে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে— ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার পেঁয়াজ রপ্তানির নীতিতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনেছে। ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ভারত থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ থাকবে।
ভারতের পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞার এই খবর প্রকাশের পর থেকে হু হু করে বাড়তে থাকে পেঁয়াজের দাম।
এবার পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে কালোবাজারি, মজুতদার ও বেশি দামে বিক্রিকারীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
আজ রবিবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
ডিবিপ্রধান বলেন, পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে শনিবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুর থেকে আমাদের ডিবির লালবাগ বিভাগের একাধিক টিম চকবাজার ও শ্যামবাজার এলাকায় কাজ করছে। গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করেছে।
তিনি বলেন, আমাদের গোয়েন্দা তথ্য অব্যাহত আছে। আমরা মনে করি এ সময়ে কেউ যদি কালোবাজারি করে, পেঁয়াজ মজুত করে, বেশি দামে বিক্রির করার পাঁয়তারা করে, আমরা তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসবো।
গত শুক্রবার ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেওয়ার পর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পণ্যটির দাম হু হু করে বেড়ে যায়। গত সপ্তাহে যে পেঁয়াজের কেজি ১১০ থেকে ১২০ টাকা রাখা হয়েছে, এখন সেটা বিক্রি করা হচ্ছে ১৮০ টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। লাগামহীন এই দাম বৃদ্ধির জন্য অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটকে দুষছেন ক্রেতারা।