পোশাক শিল্পে বড় ক্ষতি, কাঁচামাল ও স্যাম্পল পুড়ে ছাই
_-1190456.png?v=1.1)
রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডে পোশাক শিল্পের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আগুনে রপ্তানির জন্য প্রস্তুত পোশাক, মূল্যবান কাঁচামাল ও গুরুত্বপূর্ণ নমুনা পণ্য (স্যাম্পল) ধ্বংস হয়েছে বলে জানিয়েছেন তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ইনামুল হক খান।
আজ রোববার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক একটি ঘটনা। আমাদের পোশাক শিল্পের জন্য বড় ধাক্কা এটি। বিশেষ করে যেসব স্যাম্পল ও উচ্চমূল্যের পণ্য আগুনে নষ্ট হয়েছে, তা নতুন ব্যবসার সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার ঝুঁকি তৈরি করেছে।
ইনামুল হক আরও বলেন, রপ্তানির জন্য প্রস্তুত পোশাক, কাঁচামাল এবং বিভিন্ন বিদেশি ক্রেতার জন্য পাঠানো স্যাম্পল পণ্যগুলো সম্পূর্ণভাবে পুড়ে গেছে। এই স্যাম্পলগুলোই নতুন অর্ডার পাওয়ার মূল মাধ্যম। ফলে ক্ষতিটা শুধু আর্থিক নয়, ভবিষ্যৎ ব্যবসার ওপরও এর প্রভাব পড়বে।
তিনি জানান, ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ নিরূপণ করতে বিজিএমইএ সদস্যদের কাছে বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে। এজন্য একটি অনলাইন ডেটা কালেকশন পোর্টালও চালু করা হয়েছে।
বিজিএমইএর এই নেতা বলেন, প্রতিদিন ২০০ থেকে ২৫০টি কারখানার পণ্য বিমানপথে রপ্তানি হয়। তাই ক্ষতির মাত্রা অনেক বড়। আমরা দ্রুত তথ্য সংগ্রহ করে বিমানবন্দর, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, কাস্টমসসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় সভা করব।
পরিদর্শনে অংশ নেওয়া বিজিএমইএর পরিচালক ফয়সাল সামাদ বলেন, আমরা বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে ঘটনাস্থলেই বৈঠক করেছি। তিনি জানিয়েছেন, আপাতত ক্ষতিগ্রস্ত অংশে আমদানির কাজ স্থগিত থাকবে এবং বিকল্প হিসেবে টার্মিনাল–৩-এ নতুন জায়গা দেওয়া হবে।
তিনি আরও জানান, যেসব সদস্য আমদানি কার্যক্রম চালাচ্ছেন, তাঁদের সুবিধার্থে কাস্টমস ক্লিয়ারেন্সের সময়সীমা ৭২ ঘণ্টা থেকে কমিয়ে ৩৬ ঘণ্টা করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। যেন নতুন পণ্য আটকে না যায় এবং রপ্তানি কার্যক্রম ব্যাহত না হয়।
ইনামুল হক বলেন, আমরা ভেতরে গিয়ে দেখেছি, আমদানির সেকশনটা পুরোপুরি পুড়ে গেছে। ভেতরের অবস্থা ভয়াবহ। সবকিছু পুনরায় সচল করতে অন্তত দুই সপ্তাহ থেকে এক মাস সময় লাগতে পারে।