নতুন আরেক দেশে ওষুধ রপ্তানি করবে বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
জার্নাল ডেস্ক জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৮ জুলাই ২০২৫, ০৯:২৬ AM

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত শীর্ষস্থানীয় ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ইন্দো-বাংলা ফার্মা (IBPL) আফগানিস্তানে ওষুধ রপ্তানির উদ্দেশ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি করেছে। এ চুক্তির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি আফগানিস্তানের সালার ইউসুফজাই ফার্মা লিমিটেডের সঙ্গে ১৫ বছরের দীর্ঘমেয়াদি ব্যবসায়িক অংশীদারত্বে যুক্ত হয়েছে।

সম্প্রতি ঢাকায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ইন্দো-বাংলা ফার্মা তাদের মানসম্পন্ন ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য আফগানিস্তানে সরবরাহ করবে এবং সালার ইউসুফজাই ফার্মা দেশটির একমাত্র ও একচেটিয়া এজেন্ট হিসেবে কাজ করবে। এই চুক্তির অধীনে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানকে এই বাজারে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।

চুক্তি অনুসারে, প্রতি শিপমেন্টে প্রায় ১.৫ লাখ ডলার মূল্যমানের ওষুধ রপ্তানি করা হবে। দ্বিতীয় শিপমেন্টে রপ্তানি করা হবে ২.৮০ লাখ ডলাল মূল্যের ওষুধ। অর্থপ্রদান পদ্ধতি হিসেবে, প্রথমে ৪০ শতাংশ অগ্রিম দিয়ে শিপমেন্টের ১৫ দিন আগে বাকি ৬০ শতাংশ অর্থ পরিশোধ করতে হবে। পণ্য সরবরাহ FOB ভিত্তিতে, চিটাগং থেকে সমুদ্র বা আকাশ পথে আফগানিস্তানে পাঠানো হবে।

অফারটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়ক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এই উদ্যোগের ফলে, ইন্দো-বাংলা ফার্মার বিক্রয় বৃদ্ধি ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পাশাপাশি, আফগানিস্তানের বাজারে তাদের পা রাখার সুযোগ সৃষ্টি হবে। পাশাপাশি, কোম্পানির আশায়, দীর্ঘমেয়াদে এই রপ্তানি কার্যক্রম তাদের ব্যবসায়িক সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

চুক্তির অন্য শর্তাবলির মধ্যে রয়েছে, পণ্যের মান নিশ্চিত করা, শেলফ লাইফের মান নির্ধারণ, ক্ষতিগ্রস্ত পণ্য প্রতিস্থাপন ও পরিবহন খরচের দায়িত্ব। চুক্তির মেয়াদ ১৫ বছর, যার মধ্যে ত্রৈমাসিক পর্যায়ে অগ্রগতি ও কার্যক্রমের মূল্যায়ন হবে। কোনও পরিবর্তন বা সংশোধনী লিখিত স্বাক্ষর ছাড়া কার্যকর হবে না। চুক্তি বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের আইন অনুযায়ী পরিচালিত হবে।

এই গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিতে ইন্দো-বাংলা ফার্মার পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এফ এম অনোয়ারুল হক, এবং সালার ইউসুফজাই ফার্মার পক্ষ থেকে ছিলেন সিইও মুহাম্মদ কাসাম হ্যায়ার। সাক্ষী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এ কে এম  রফিকুল ইসলাম ও আব্দুল্লাহ আল মামুন।

এখন এই চুক্তির মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্কের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হচ্ছে বলে আশা করা হচ্ছে। দীর্ঘ মেয়াদে এই কার্যক্রম দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে সংশ্লিষ্টরা মত প্রকাশ করেছেন।

এদিকে কম্বোডিয়া এবং ভিয়েতনামেও বাংলাদেশ থেকে ওষুধ রপ্তানির প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা গেছে।