পরীমণির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

নিজস্ব প্রতিবেদক
বিনোদন জার্নাল বিনোদন জার্নাল
প্রকাশিত: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:২৬ PM

ব্যবসায়ী নাছির উদ্দিন মাহমুদকে মারধর, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে করা মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেছে আদালত। এর মাধ্যমে মামলায় পরীমনির আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়েছে।

এছাড়া, পরীমনি আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। আজ রবিবার (২৬ জানুয়ারি) শুনানি শেষে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তার সময় আবেদন নামঞ্জুর করে এই আদেশ দেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত এপ্রিলে, ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম সাইফুল ইসলামের আদালতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন বাদী পক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম মোহাম্মদ সোহেল। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ঢাকা জেলার পরিদর্শক মো. মনির হোসেন আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন, যেখানে পরীমনি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমের বিরুদ্ধে বাদীকে মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়।

ব্যবসায়ী নাছির উদ্দিন মাহমুদ ২০২১ সালের ৬ জুলাই ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব হাসানের আদালতে পরীমনি ও তার দুই সহযোগী ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি এবং জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় বাদী দাবি করেন, পরীমনি ও তার সহযোগীরা নিয়মিত অ্যালকোহল পান করেন এবং বিভিন্ন নামীদামি ক্লাবে গিয়ে পার্সেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ না করেই চলে যান। পরীমনি পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের মাধ্যমে মিথ্যা মামলা করে হয়রানির ভয় দেখান।

মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, ২০২১ সালের ৯ জুন রাতে সাভারের বোটক্লাবে গিয়ে পরীমনি নাসির উদ্দিন মাহমুদকে ডেকে কিছু সময় বসার জন্য অনুরোধ করেন। এক পর্যায়ে পরীমণি নাসিরকে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেন এবং একটি ব্লু লেবেল অ্যালকোহল বিনামূল্যে নেওয়ার জন্য চাপ দেন। নাসির এর জন্য রাজি না হলে পরীমনি তাকে গালমন্দ করেন এবং পরে তাকে মারধর করেন। এক পর্যায়ে পরীমনি নাসিরের দিকে একটি সার্ভিং গ্লাস ও মোবাইল ফোন ছুঁড়ে মারেন, যা তার মাথা ও বুকে আঘাত করে।

মামলায় আরও উল্লেখ করা হয় যে, পরীমনি ও তার সহযোগীরা নাসির উদ্দিনকে মারধর করে হত্যার হুমকি দেন এবং বোটক্লাবে ভাঙচুর চালান। এসব ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য পরীমনি সাভার থানায় নাসির উদ্দিনসহ দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ তুলে মামলা করেন। তবে পুলিশ তদন্তের পর ধর্ষণ বা হত্যাচেষ্টার কোনো প্রমাণ পায়নি।