কোটা বাতিল আন্দোলন নিয়ে পোস্ট দিয়েও কিছুক্ষণ পর ডিলিট করে দিলেন ফারুকী
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহালসহ চার দফা দাবিতে দেশব্যাপী আন্দোলন করছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। গতকাল রবিবার (০৭ জুলাই) থেকে বাংলা ব্লকেড শুরু করেছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। গত কয়েকদিন ধরে চলা এই আন্দোলনের পক্ষে-বিপক্ষে অনেকেই মতামত দিচ্ছেন। এবার মতামত দিলেন চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
ফারুকী দেওয়া সেই ফেসবুক পোস্ট বেশিক্ষণ স্থায়ী হলো না। কিছুক্ষণ পরেই নামিয়ে ফেললেন সেই পোস্ট। ধারণা করা হচ্ছে, বিতর্ক এড়াতেই পোস্টটি ডিলিট করেছেন তিনি। পোস্টে ফারুকী লিখেছিলেন, ঢালাও কোটার নামে মেধাহীন রাষ্ট্রব্যবস্থাকে উৎসাহ দেয়া বন্ধ হোক।
আন্দোলনকারীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ফারুকী আরও লেখেন, এই আন্দোলনে যারা আছো, তাদের সবার জন্য লাল সালাম। নিজের সুস্থতার জন্য অনলাইনে খুব বেশি থাকি না। সব উত্তেজনা থেকে দূরে থাকার চেষ্টায় আছি। কিন্তু এই কথাগুলা না বললে ইতিহাসের কাছে অপরাধী থেকে যাবো। আমার মেয়েরা যখন বড় হবে, বলবে, বাবা যখন এইরকম একটা ব্যবস্থা করা হয়, তখন তোমরা কী করছিলে?
প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা ছিল। এই কোটা সংস্কারের দাবিতে ২০১৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বড় ছাত্র আন্দোলন হয়। সেই আন্দোলনের মুখে ওই বছরের ৪ অক্টোবর সব ধরনের কোটা বাতিল করে পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এর ফলে সরকারি চাকরিতে কোটাপদ্ধতি বাতিল হয়ে যায়।
তবে ২০২১ সালে সেই পরিপত্রের মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের অংশটিকে চ্যালেঞ্জ করে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান উচ্চ আদালতে রিট করেন। সেই রিটের শুনানি শেষে গত ৫ জুন পরিপত্রের ওই অংশ অবৈধ ঘোষণা করেন আদালত। ফলে কোটা বহাল হয়ে যায়। এতে ক্ষুব্ধ হন শিক্ষার্থীরা। কোটা বাতিলের দাবিতে আবার রাস্তায় নামেন তাঁরা। ঈদুল আজহার আগে কয়েক দিন বিক্ষোভের পর দাবি মানতে সরকারকে ৩০ জুন পর্যন্ত সময় বেঁধে (আলটিমেটাম) দেন আন্দোলনকারীরা। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে ১ জুলাই থেকে জোর আন্দোলন শুরু করেছেন তাঁরা।