সব চরিত্রে ফারফেক্ট মোশাররফ
পশ্চিমবঙ্গের গ্যাংস্টার হুব্বা শ্যামলের জীবনের কাহিনি নিয়ে তৈরি হয়েছে ‘হুব্বা’ ছবিটি। ‘হুগলিতে দাউদ ইব্রাহিম’ নামে পরিচিত ছিলেন এই ব্যক্তি। খুন, মারামারি, মাদক চোরাচালানসহ বিভিন্ন অপরাধে তাঁর দাপট ছিল। অসংখ্য মামলার এই আসামি এক পর্যায়ে নির্বাচনেও লড়েন। সিনেমাটিতে সেই চরিত্রে অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম। ছবিতে পুলিশের ভূমিকায় আছেন ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত। অনেকে রয়েছেন।
নিজের নতুন এই সিনেমা নিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী মোশাররফ করিম। তাঁর ভাষ্যে– বেশ নয়, প্রচুর। এই অভিনেতা বলেন, “সিনেমাটি দুই বাংলার দর্শককে বিনোদিত করবে। তারা সিনেমাটি দেখে মজা পাবেন। আর নিজের কাজ নিয়ে আমি সব সময়ই আত্মবিশ্বাসী। কারণ ওই কাজটির সঙ্গে আমার সততা, শ্রম ও প্রত্যাশা মিশে থাকে। ডাবিংয়ের সময় নিজেও সিনেমাটি দেখেছি। সাধারণত আমার ছবি নিয়ে এতটা সন্তুষ্টি প্রকাশ করি না। কিন্তু ‘হুব্বা’র ক্ষেত্রে আমি সন্তুষ্ট।”
মোশাররফের এই কথার প্রমাণ পাওয়া যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঢু মারলেই। ‘এবার মনে হচ্ছে মোশাররফ করিমকে কেউ ঠিকমতো কাজে লাগাতে পারল ...’, ‘ভারতবাসীরা এবার পাগল হবে আমাদের মোশাররফ করিমের অভিনয়ের জাদুতে’, ‘মোশাররফ ভাই তো ফাটায় দিছে। দেখার জন্য অধীর আগ্রহ নিয়ে বসে আছি’, ‘মোশাররফ করিম হচ্ছে অভিনয়ের গুরু, সে জানে কীভাবে কোন কাজটা করতে হবে’, “অভিনয়, বাচনভঙ্গি আর সংলাপে ‘হুব্বা’র ট্রেলারে মাতিয়েছেন মোশাররফ করিম একাই”– ইউটিউবে ‘হুব্বা’ ট্রেলার প্রকাশের পর মন্তব্যের ঘরে এমন অনেক মন্তব্য করেছেন মোশাররফ করিমকে নিয়ে। তাইতো তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, সিনেমাটি নিয়ে আপনার ভক্ত ও দর্শকের মাঝে যে প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে, মুক্তির পর সেটা কি পূর্ণতা পাবে?
মোশাররফ করিম বলেন, ‘অবশ্যই। পূর্ণতা না পাওয়ার কারণই নেই। কারণ, চরিত্রটিই অসাধারণ। এই চরিত্রের অনেক স্তর, তারপর মানসিক দিকগুলোতে অভিনয়, পরিশেষে সেই চরিত্রটি হয়ে ওঠা এবং গল্পটি যেভাবে বলা হয়েছে– এসব কারণেই মনে হচ্ছে দর্শক নিরাশ হবেন না।’
দীর্ঘ অভিনয় জীবনে বহুমাত্রিক চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গেছে মোশাররফ করিমকে। এই অভিনেতার কথায়, আমি গল্পটি মাথায় নেই। সে অনুযায়ী চরিত্রটি ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করি। নব্বইয়ের দশকের শুরুতে মঞ্চ নাটকে মোশাররফ করিম নীরবে অভিনয় শুরু করেন। থিয়েটারের পাশাপাশি টেলিভিশন নাটকে অভিনয় নিয়ে তাঁর মধ্যে কোনো তাড়াহুড়া ছিল না।
ছোট ছোট চরিত্র দিয়ে নিজেকে প্রমাণ করেন। কিন্তু শুরু থেকে চরিত্রের প্রতি ভালোবাসাটা সব সময় একই রকম থেকে গেছে। চরিত্রের ব্যাপ্তি অল্প হলেও চরিত্রের প্রতি ভালোবাসা ছিল অগাধ। কীভাবে চরিত্র পর্দায় ফুটিয়ে তোলা যায়, এটা নিয়ে দীর্ঘদিন সময় দিয়েছেন। অভিনয়ের ২৫ বছর ধরে এভাবেই নিজেকে এগিয়ে নিয়ে চলছেন। আগামীতেও এভাবেই কাটিয়ে দিতে চান এই অভিনেতা।