ফলাফল যা হবার হবে, সেটি মেনে নিব: মাহিয়া মাহি
রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ট্রাক প্রতীকে নির্বাচনে লড়ছেন চিত্রনায়িকা শারমিন আক্তার নিপা ওরফে মাহিয়া মাহি। আজ রবিবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ১০ টার দিকে মাহি তানোর উপজেলার মুন্ডুমালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শন করেন তিনি। এসময় তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘ফলাফল যা হবার হবে, সেটি মেনে নিব। আমি হারি আর জিতি কালকে (সোমবার) পুরো এলাকাতে শোডাউন করব। হেরে গেলেও সবাইকে জানান দিবো, আমি তাদের পাশে আছি।’
মাহি আরো বলেন, ‘ভোট গ্রহণকে কেন্দ্র করে এলাকায় উৎসব মুখর পরিবেশ চলছে। প্রশাসন খুবই তৎপর আছে। সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট হচ্ছে।
সব কেন্দ্রেই এজেন্ট দেওয়া হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় কেও (এজেন্ট) একটু লেট করেছে। কিছু কিছু জায়গায় এজেন্টরা স্বাক্ষর করে ঢুকতে লেট করেছে। তবে সব কেন্দ্রেই আমার লোকজন আছে।’
জয়ী হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি মানুষের এতো কাছাকাছি গিয়েছি, এতো বয়স্ক মানুষের দোয়া পেয়েছি, প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়েছি এবং অনেক মানুষের সাথে কথা বলেছি। মানুষের কষ্টের কথা শুনেছি, এর থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। তাদের জন্য আমার অনেক করণীয় আছে। আমি সুযোগ পেলে এসব মানুষের সহযোগিতা করতে পারব। আর না পেলেও আমি ব্যক্তিগত উদ্যোগে তাদের সহযোগিতা করব।’
মাহিয়া মাহি আরো বলেন, ‘এটা আমার জীবনে প্রথম নির্বাচন। আপনারা সবাই জানেন, অন্যদের মতো আমি একদম পুরোদস্তুর রাজনীতিবিদ না। অনেকেই আমার বয়সের আগে থেকে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তাঁদের কার্যক্রম যতটা মসৃণ হবে, সেখানে আমার তো একটু ঘাটতি থাকবেই। তবে ওভারঅল সবকিছু ভালোই আছে।’
এদিকে, তানোর সদর, মুন্ডুমালা, গোদাগাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অধিকাংশ কেন্দ্রে চিত্রনায়কা মাহিয়া মাহির নির্বাচনী পোলিং এ্যাজেন্টই ছিল না। কিছু কিছু কেন্দ্রে দুই-একজন করে দেখা গেলেও সব বুথে এজেন্ট দেখা যায়নি। এই আসনে মোট ১০ জন প্রার্থী থাকলেও মূলত লড়াই হবে নৌকার প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধূরী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম রাব্বানী ও চিত্রনায়িকা মাহির মধ্যে।
উল্লেখ্য, এবার নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৭ লাখ। এর মধ্যে ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন পুরুষ, ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন নারী এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারের সংখ্যা ৮৫২। মোট ভোটকেন্দ্র ৪২ হাজার ১০৩টি। ভোটকক্ষ ২ লাখ ৬১ হাজার ৯১২টি। ভোট হচ্ছে ব্যালট পেপারে।
ইসির দেওয়া তথ্যমতে, নির্বাচন ঘিরে সারাদেশে পাঁচ লাখ ১৬ হাজার আনসার, এক লাখ ৮২ হাজার ৯১ পুলিশ, ৪৬ হাজার ৮৭৬ বিজিবি, দুই হাজার ৩৫০ কোস্টগার্ড এবং ৭০০ এর বেশি র্যাব টহলে থাকবে। তাদের সঙ্গে ভোটের মাঠে থাকবে সশস্ত্র বাহিনী। এ ছাড়া আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরাও মাঠে থাকবে। প্রতিকেন্দ্রে থাকবেন ১৫ থেকে ১৭ জন নিরাপত্তা সদস্য।