সেঞ্জুরি করেও হার; বিজয় বললেন মূল্য নেই
শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে রাজশাহী দলের অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় নিজের সেঞ্চুরি সত্ত্বেও দলকে জেতাতে পারেননি। শেষ ওভারে ১৭ রান দরকার ছিল, কিন্তু সেই কঠিন সমীকরণ পূর্ণ করতে ব্যর্থ হন বিজয়। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিজয় তার হতাশা প্রকাশ করেন এবং বলেন, "আমার ইনিংস নিয়ে বিশেষ কিছু বলার নেই। আমি শুধু স্কোরবোর্ড দেখছিলাম এবং ম্যাচটি যতটা সম্ভব ক্লোজে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলাম। আফিফের ক্যাচটি ছিল, ৬-৭ রানে আউট হতে পারতাম। তবে আল্লাহর রহমতে বড় রান করতে পেরেছি। যদি ম্যাচটা জিততে পারতাম, তবে আরও শান্তি পেতাম।"
তিনি আরও বলেন, "এমন ম্যাচ জেতানো একটি ব্যাটারের জন্য স্বপ্নের মতো। ক্যারিয়ারে এমন ৫-৬টি ম্যাচ জেতানো একান্তভাবে তার হাতে থাকে, তখন নিজের ইনিংসটি মূল্যায়ন করতে পারতাম। কিন্তু এখন সেই আফসোসটা থেকে যাবে।"
বিজয় বলেন, রায়ান বার্ল থাকলে ম্যাচ জেতা সম্ভব ছিল রাজশাহীর, ‘আমি ২টা বল স্লটে ছিল মিস হয়ে গেছে। একটা এ পাশ থেকে যে করলো, একটা হাসানের বলে। দুইটা আমি মিস করেছি। রায়ান বার্ল বিপিএলে ভালো করছে। সে থাকলে অবশ্যই সুযোগ তো ছিলই। টুর্নামেন্টজুড়ে বিপিএলে বার্ল এবং খুশদিল শাহ অন্যতম সেরা ছিল। আমি মনে করি অবশ্যই সুযোগ তো ছিল (বার্ল থাকলে)।’
আনামুল আরও বলেন, ‘আমরা যেসব ইনিংস দেখি এর পেছনে বল বয়, কোচ, থ্রোয়ার, যারা কাছের মানুষ আছে তাদের আসলে ধন্যবাদ দিয়ে শেষ করা যাবে না। সেই সকাল থেকে যে অনুশীলন করি এটা ৩৬০ ডিগ্রি বলেন বা আন অর্থোডক্স শট বলেন, এগুলো সুযোগ ব্যাটারের জন্য। আমি যখন কাভার, পুল সোজা খেলতে পারছি, ভাবছি কীভাবে পাওয়ারপ্লে শেষে বাউন্ডারি বের করতে পারি।’
বিজয়ের সেঞ্চুরিটি তিনি উৎসর্গ করেছেন দুই বিশেষ ব্যক্তির কাছে: তার কোচ এবং বন্ধু মাসুদ, যাদের অবদানে তার প্রেরণা ও সহায়তা পেয়েছেন। "কোচ বিপ্লব ভাই এবং বন্ধু মাসুদ—এই দুজনকে আমি ধন্যবাদ জানাই এবং সেঞ্চুরিটি তাদেরকেই উৎসর্গ করছি," বলেন তিনি।