ফিলিস্তিনের পক্ষে আইসিসির বিরুদ্ধে লড়ে যাচ্ছেন উসমান খাজা

নিজস্ব প্রতিবেদক
স্পোর্টস জার্নাল স্পোর্টস জার্নাল
প্রকাশিত: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৪২ AM

ফিলিস্তিনের পক্ষ নিয়ে আইসিসির বিরুদ্ধে একপ্রকার লড়ে যাচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার উসমান খাজা। পার্থ টেস্টে জুতায় বিশেষ বার্তা নিয়ে নামতে চেয়েছিলেন, সেটা হয়নি। পরে টেপ দিয়ে বিশেষ বার্তা ঢেকে মাঠে নেমেছিলেন তিনি। অবশ্য বাহুতে কালো টেপ পরতে ভুল করেননি। সেটার জন্য আইসিসির কাছ থেকে তিরস্কারও শুনতে হয়েছে তাকে। কিন্তু এরপরেও থেমে থাকেননি খাজা।

মেলবোর্নে বক্সিং ডে টেস্টে খাজা নামতে চেয়েছিলেন শান্তির প্রতীক পায়রা এবং জলপাই ডালের প্রতীক নিয়ে। সেটাতেও আইসিসির নিষেধাজ্ঞা রয়ে যায়। এর বিরুদ্ধে খেলার আগে একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে খাজা লিখেছেন যে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) তাকে পায়রা পরা থেকে নিষিদ্ধ করে "দ্বিচারিতা" দেখাচ্ছে।

যদিও খাজা দমে যাওয়ার পাত্র নন। নিজের মতো করেই প্রতিবাদের ভাষা খুঁজে নিয়েছেন তিনি। মেলবোর্নে এই অজি তারকার জুতায় থাকলো দুই মেয়ে আয়েশা এবং আয়লার নাম। 

অবশ্য নিজের দুই মেয়ের নামও প্রতিবাদেরই অংশ। পার্থ টেস্টে আইসিসির আপত্তির পর খাজা বলেছিলেন, ‘যখন আমি দেখি হাজার হাজার নিরপরাধ শিশু মারা যাচ্ছে, ওই জায়গায় আমি আমার দুটি মেয়েকে কল্পনা করি। কী হতো যদি ওখানে ওরা থাকত?’ এবার সেই মেয়ের নাম দিয়েই ফিলিস্তিনের পক্ষে নিজের অবস্থান জানান দিয়েছেন তিনি।

অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার মাইক হাসি খাজার অবস্থানের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।

হাসি বলেছেন, "আমি আসলে তাকে নিয়ে বেশ গর্বিত। তিনি তার বিশ্বাস, তার নৈতিকতা এবং তার মূল্যবোধে খুব উত্সাহী এবং সেগুলিকে ধরে রাখতে ভয় পান না।"

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী নিক হকলিও মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টেস্ট শুরুর আগে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেছেন খাজাকে নিয়ে, ‘আমরা উজির (উসমান খাজা) সঙ্গে বসেছিলাম। এমন কিছু খুঁজে বের করতে চেয়েছি, যেটা  পক্ষপাতহীন, ধর্মনিরপেক্ষ ও অরাজনৈতিক হবে। সেভাবেই শান্তির প্রতীক পায়রার কথা মাথায় আসে। কিন্তু আইসিসি হয়তো বিষয়টা নিয়ে আরও গভীরভাবে চিন্তা করেছ।

বক্সিং ডে টেস্টে নিজের ব্যাটে ও জুতায় শান্তির প্রতীক হিসেবে পায়রা এবং জলপাই ডালের স্টিকার লাগিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন অজি ওপেনার উসমান খাজা। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া এবং অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে অনুমতি পেলেও খাজা আটকেছেন আইসিসির কাছে।