৫ দিন ধরে সূর্যের দেখা নেই দিনাজপুরে

নিজস্ব প্রতিবেদক
জার্নাল ডেস্ক জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:১৪ AM

দিনাজপুরে গত পাঁচ দিন ধরে সূর্যের দেখা নেই। উত্তরের হিমেল হাওয়া এবং ঘন কুয়াশার কারণে দিনাজপুরসহ পুরো উত্তরাঞ্চল তীব্র শীতের কবলে পড়েছে। কনকনে শীতের কারণে এই অঞ্চলের মানুষ অস্বস্তিতে রয়েছে। আজ শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এই শীতের ফলে জনজীবনে তীব্র বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে। রাত্রি থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশার মতো বৃষ্টি ঝরছে এবং উত্তর দিক থেকে হিমালয়ের ঠাণ্ডা বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে। তীব্র শীতের কারণে মানুষ আগুন জ্বালিয়ে শরীর গরম করার চেষ্টা করছে, আবার অনেকেই চায়ের দোকানে ভিড় করছেন। দূরপাল্লার গাড়িগুলো দিনের বেলাতেও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। এই পরিস্থিতিতে খেটে খাওয়া এবং নিম্নআয়ের মানুষরা বিশেষভাবে বিপাকে পড়েছেন। কৃষকরা আলু, রসুন এবং বোরো ধানের বীজতলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন।

শীতের তীব্রতা বাড়ানোর ফলে জেলার ১৩টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শীতজনিত রোগের সংখ্যা বাড়ছে। ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া এবং শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা নিয়ে প্রতিদিনই হাসপাতালে রোগী ভর্তি হচ্ছে, যার মধ্যে অধিকাংশই শিশু। চিকিৎসকরা শিশুদের বাসি খাবার থেকে বিরত থাকার, খাবার ভালোভাবে ঢেকে রাখার এবং রাতে শিশুকে বাইরে না বের হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন।

স্থানীয় এক দিনমজুর জানান, শীতের কারণে কাজ কমে গেছে। অনেকেই ঠান্ডার কারণে কাজ করতে চান না, ফলে একদিন কাজ হলে পরের দিন বসে থাকতে হয়। এক ট্রাকচালক জানান, গভীর রাত থেকে কুয়াশার কারণে রাস্তা ঘাটে যানবাহনগুলো ধীর গতিতে চলাচল করছে। এক শ্রমিক বলেন, শীতের কারণে কাজ করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে, তাই তিনি কাজে যোগ দেননি।

দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন জানান, শনিবার সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ এবং বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৩ কিলোমিটার। তিনি আরও জানান, বায়ুমন্ডলের উপরিভাগে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ অত্যধিক থাকায় সূর্যের আলো পৌঁছাচ্ছে না, তবে এই অবস্থার কিছুটা উন্নতি হতে পারে এবং আগামী দু-তিন দিনে রাতের তাপমাত্রা আরও কিছুটা হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।