সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ; ইজতেমা ময়দান ছাড়ছেন মুসল্লীরা
গাজীপুরে টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে অবস্থিত বিশ্ব ইজতেমা ময়দান দখলকে কেন্দ্র করে মাওলানা সাদ ও জুবায়েরপন্থী দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় কামারপাড়া, আব্দুল্লাহপুর, উত্তরা সেক্টর-১০ এবং তৎসংলগ্ন তুরাগ নদীর দক্ষিণ পশ্চিম এলাকায় যে কোনো প্রকার সভা-সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ ইত্যাদি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এই ঘোষণার পর ইজতেমা ময়দান ছাড়তে শুরু করেছেন মুসল্লিরা।
আজ বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার পর থেকে মুসল্লিরা নিজ নিজ গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দিতে শুরু করেন।
এর আগে গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশ কমিশনার ড. নাজমুল করিম খানের স্বাক্ষর করা গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১৮ ডিসেম্বর দুপুর ২টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ইজতেমা ময়দানসহ আশপাশের তিন কিলোমিটার এলাকায় জনসাধারণের জমায়েত নিষিদ্ধ করা হলো। এ সময় দুই বা ততোধিক ব্যক্তি একত্রে ঘোরাফেরা, জমায়েত এবং কোনো মিছিল-সমাবেশ করতে পারবে না। গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশ আইন ২০১৮ এর ৩০ ও ৩১ ধারায় পুলিশ কমিশনারকে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এই আদেশ দেওয়া হলো।
অপরদিকে, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় জনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স (অর্ডিন্যান্স নং-ওওও/৭৬) এর ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে বুধবার দুপুর ২টা থেকে কামারপাড়া, আব্দুল্লাহপুর, উত্তরা সেক্টর-১০ এবং তৎসংলগ্ন তুরাগ নদের দক্ষিণ-পশ্চিম এলাকায় যেকোনো প্রকার সভা-সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ ইত্যাদি-পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হলো।
এদিকে ইজতেমা ময়দানের আশেপাশে পুলিশ-বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। ইজতেমা ময়দানের আশেপাশে জলকামান ও রায়ট কারও মোতায়েন করা হয়েছে।