দেশীয় মজুদ বাড়াতে আমদানি হবে ৬ লাখ টন চাল-গম

নিজস্ব প্রতিবেদক
অনলাইন অনলাইন
প্রকাশিত: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:২৬ PM

খাদ্যের মজুদ বাড়াচ্ছে সরকার

অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বর্তমানে দেশে যে পরিমাণ খাদ্যশস্যের মজুদ রয়েছে তাতে করে এখনই আমদানির প্রয়োজন হবে না। তবে সরকার চায় না কোনক্রমে দেশে খাদ্যের ঘাটতি দেখা দেক। তাই চার লাখ টন গম এবং দুই লাখ টন চাল আমদানির নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বুধবার তার সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত দুইটি প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, এসব গম ও চাল আমদানি করে দেশের খাদ্যশস্যের মজুদ বাড়ানো হবে। এখন একটি প্রত্যাশিত মূল্য ধরা হয়েছে, তবে পরবর্তীতে দাম চূড়ান্ত করে এসব চাল–গম আমদানি করা হবে। অর্থ উপদেষ্টা আরও বলেন, সরকার জনগণকে আশ্বস্ত করতে চায় যে, সার ও খাদ্যদ্রব্যের কোনো ঘাটতি হবে না।

এদিকে বৈঠক সূত্র জানা গেছে, বৈঠকে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে চাল ও গম আমদানির সময়সীমা ১৫ দিন নির্ধারণ করার প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর আগে এ সময়সীমা ছিল ৪২ দিন। অর্থাৎ দরপত্রের বিজ্ঞাপন প্রকাশের তারিখ থেকে ৪২ দিনের মধ্যে চাল বা গম সরবরাহ করার বাধ্যবাধকতা ছিল। সে সময় কমিয়ে ১৫ দিন করা হলো।

জিটুজি (সরকার থেকে সরকার) ভিত্তিতে চাল ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদন এবং পিপিআর ২০০৮ এর বিধি ৮৩ মোতাবেক আন্তর্জাতিক দরপত্রের ক্রয় প্রক্রিয়ায় সময় হ্রাস করার প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সরকারি বিতরণ ব্যবস্থা সচল রাখাসহ খাদ্য নিরাপত্তা বলয় সুসংহত রাখার লক্ষ্যে জিটুজি ভিত্তিতে এবং আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে চাল আমদানি করা হয়। 

রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে পিপিএ ২০০৬ এর ধারা ৬৮(১) এবং পিপিআর, ২০০৮ এর বিধি ৭৬(২) অনুসরণে প্রয়োজনের সময়ে রপ্তানিকারক দেশ থেকে জিটুজি ভিত্তিতে সর্বোচ্চ ৩ লাখ টন চাল ক্রয় এবং আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে প্রয়োজনের সময়ে সর্বোচ্চ ২ লাখ টন চাল আমদানির লক্ষ্যে পিপিআর ২০০৮ এর বিধি ৮৩ এর (১)(ক) অনুযায়ী দরপত্র দাখিলের সময়সীমা পত্রিকা বিজ্ঞাপন প্রকাশের তারিখ থেকে ৪২ দিনের পরিবর্তে ১৫ দিন নির্ধারণ করার জন্য প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে কমিটি তাতে অনুমোদন দিয়েছে।

২০২৪-২৫ অর্থবছরে আন্তর্জাতিক উৎস থেকে সাড়ে ৩ লাখ টন এবং অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১৯ দশমিক ২৩ লাখ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। 

সভায় জিটুজি ভিত্তিতে গম ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদন এবং পিপিআর ২০০৮ এর বিধি ৮৩ মোতাবেক আন্তর্জাতিক দরপত্রে ক্রয় প্রক্রিয়ায় সময় হ্রাস করার প্রস্তাবেও নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। সরকারি বিতরণ ব্যবস্থা সচল রাখাসহ খাদ্য নিরাপত্তা বলয় সুসংহত রাখার লক্ষ্যে জিটুজি ভিত্তিতে এবং আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে গম আমদানি করা হয়। 

রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে পিপিএ ২০০৬ এর ধারা ৬৮(১) এবং পিপিআর, ২০০৮ এর বিধি ৭৬(২) অনুসরণে রপ্তানিকারক দেশ থেকে জিটুজি ভিত্তিতে ৪ লাখ টন গম ক্রয় এবং আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ৪ লাখ টন গম আমদানির লক্ষ্যে পিপিআর ২০০৮ এর বিধি ৮৩ এর (১)(ক) অনুযায়ী দরপত্র দাখিলের সময়সীমা পত্রিকা বিজ্ঞাপন প্রকাশের তারিখ হতে ৪২ দিনের পরিবর্তে ১৫ দিন নির্ধারণ করার জন্য প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে কমিটি তাতে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে।

২০২৪-২৫ অর্থবছরে আন্তর্জাতিক উৎস থেকে ৭ লাখ টন এবং অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১০ হাজার মেট্রিক টন গম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।

সূত্র: সমকাল