নোয়াখালীর প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখনো পৌঁছেনি ত্রাণ; খাবারের জন্য হাহাকার

নিজস্ব প্রতিবেদক
জার্নাল ডেস্ক জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৭ আগস্ট ২০২৪, ০৯:০৮ AM

স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে পরেছে ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লাসহ দেশের ১২ জেলা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫৫ লাখের অধিক মানুষ। ভেসে গেছে গ্রামের পর গ্রাম। ফলে দেখা দিয়েছে খাদ্যের তিব্র সংকট। 

এদিকে বানভাসি মানুষের জন্য ত্রাণ সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে সর্বস্তরের মানুষ। তবে এক সপ্তাহেও ত্রাণ পৌঁছায়নি নোয়াখালীর বন্যা দুর্গত অনেক এলাকায়। সেখানে দেখা দিয়েছে খাদ্য ও সুপেয় পানির সংকট। স্বাস্থ্য ঝুঁকির পাশাপাশি ক্ষুধার্ত অধিকাংশ শিশু। পানিবন্দি মানুষের মাঝে খাবার পৌঁছে দিতে কাজ করছে সরকারি-বেসরকারি সংস্থা। 

জানা গেছে, নোয়াখালীর ৯ উপজেলায় এখনও পানিবন্দি প্রায় ২০ লাখ মানুষ। অনেকেই বাড়িঘর ছেড়ে উঠেছেন আশ্রয়কেন্দ্রে। এ পর্যন্ত ৯০৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১ লাখ ৬৩ হাজারের বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে গাদাগাদি করে থাকছে নারী, শিশু, বয়স্কসহ অসুস্থ লোকজন। সেখানে দেখা দিয়েছে খাবার, ওষুধ ও বিশুদ্ধ পানির সংকট।

বন্যা কবলিত এলাকার এক ব্যক্তি জানান, বন্যার পর থেকে এখন পর্যন্ত সরকারি বা বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানের ত্রাণ পাননি তিনি। আরেক ব্যক্তি বলেন, অনেকেই অন্যজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে আছেন। সেইসব পরিবারগুলো ত্রাণ পাচ্ছে না।  

রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির নোয়খালী ইউনিট যুব প্রধান ফারহানা হায়দার মীম বলেন, ‘রিমোট এরিয়া যেগুলো আছে সেগুলোতে এখনও ত্রাণ পৌঁছায়নি। আমরা চেষ্টা করছি পৌঁছানোর, কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে যেগুলোতে এই মুহূর্তে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। এই অবস্থায় আমাদের সবাইকেই এগিয়ে আসতে হবে।’

সরকারি-বেসরকারি মানুষের মাঝে দেওয়া হচ্ছে নগদ টাকা, চাল ও শুকনো খাবার। দুর্গত এলাকায় কাজ করছে একাধিক মেডিকেল টিম।

জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, প্রথমে আমাদের খাবারের একটু সমস্যা ছিল। এখন আমাদের শুকনো খাবার পর্যাপ্ত পাচ্ছি এবং বিভিন্ন সংস্থা আসছে, ব্যক্তিগতভাবে অনেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসছে। এ ছাড়া চিকিৎসার জন্য জেলার বাইরে থেকেও অনেক চিকিৎসকেরা আসছেন।’ 

গত দুইদিনে ভারী বৃষ্টিতে নোয়াখালীতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।