নোয়াখালীতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, ত্রাণের জন্য হাহাকার

নিজস্ব প্রতিবেদক
জার্নাল ডেস্ক জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৬ আগস্ট ২০২৪, ০৮:২৪ AM

ভারতের বাঁধ খুলে দেওয়া এবং টানা বৃষ্টি ও উজানের পানিতে নোয়াখালীতে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। অধিকাংশ জায়গায় দেখা দিয়েছে ত্রাণের জন্য হাহাকার। প্রধান সড়কের আশপাশে সহযোগিতা পেলেও প্রান্তিক অঞ্চলগুলোতে ত্রাণ পৌঁছায়নি। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নোয়াখালীর ৮ উপজেলায় মোট ৯০৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় দুই লক্ষাধিক বানভাসি মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। জেলা শহর ও তার আশপাশের আআশ্রয়কেন্দ্রে একাধিকবার সরকারি-বেসরকারি সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত থাকলেও প্রান্তিক অঞ্চলগুলোতে যাতায়াত ব্যবস্থা খারাপ হওয়ায় পৌঁছেনি সহায়তা। এতে সহায়তার জন্য বিভিন্ন স্থানে হাহাকার করতে দেখা গেছে। 

জেলা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ১০২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এছাড়া সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনাও রয়েছে। সমুদ্রে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে। 

জানা গেছে, ভারী বর্ষণ আর ফেনীর উজান থেকে নেমে আসা পানিতে জেলার সেনবাগ, বেগমগঞ্জ, সোনাইমুড়ী উপজেলার আরও নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। অনেক জায়গায় ঘর-বাড়ি ও সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। স্কুলে ঢুকে পড়েছে পানি। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ খাবার ও পানির সংকট। এছাড়া প্রান্তিক এলাকায় যাতায়াত ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় সহায়তা পাচ্ছেন না আশ্রয়কেন্দ্রের বাসিন্দারা। 

বেগমগঞ্জ উপজেলার এক বাসিন্দা বলেন, আমাদের এলাকার যাতায়াত ব্যবস্থা ভেঙে গেছে। কেউ  আসতে পারে না। মানুষের একটু সহায়তা ও সুপেয় পানির দরকার। 

জেলা শহরের এক বাসিন্দা বলেন, যারা আসছে তারা শহরের আশপাশে যেসব আশ্রয়কেন্দ্রে আছে সেগুলোতে একাধিকবার সহায়তা দিচ্ছে। কিন্তু অন্য জায়গার আশ্রয়কেন্দ্রগুলো ‍নিয়ে কারো খবর নেই। 

পানি উন্নয়ন বোর্ড নোয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলী মুন্সী আমির ফয়সাল বলেন, মুছাপুর রেগুলার পুরোটাই পানির চাপে ভেসে গেছে সমুদ্রে। এই রেগুলেটরের ২৩টি গেট দিয়ে প্রচুর পানি নেমেছে। আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। 

জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা যেখান থেকে খবর পাচ্ছি সেখানেই সহায়তা কার্যক্রম পৌঁছে দিচ্ছি। নোয়াখালীতে সহায়তা করার জন্য বিভিন্ন জেলা থেকে ছাত্র-জনতা এসেছে। আমাদের সঙ্গে যারা যোগাযোগ করছে আমরা তাদেরকে পরিকল্পিত ইউনিয়নগুলোতে ভাগ করে দিচ্ছি সহায়তা দেওয়ার জন্য। এই মানবিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেতে আমাদের সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা দরকার।