এবার পাগলা মসজিদে পাওয়া গেলো ২৮ বস্তা টাকা; চলছে গণনা

নিজস্ব প্রতিবেদক
জার্নাল ডেস্ক জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৭ আগস্ট ২০২৪, ০১:৪২ PM

কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদ। প্রতিবছর কয়েকবার দানবাক্স খুলে পাওয়া যায় বিপুল পরিমাণ টাকা। এবার এই মসজিদে পাওয়া গেছে ২৮ বস্তা টাকা। ৩ মাস ২৭ দিন পর এই দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে।

আজ শনিবার (১৭ আগস্ট) সকাল আটটার দিকে মসজিদ আঙ্গিনায় রক্ষিত ৯টি লোহার দানবাক্স খোলা হয়।

দানবাক্স খোলার সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ এবং স্থানীয় সেনা ক্যাম্পের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। প্রথমে নিচতলায় রক্ষিত লোহার সিন্দুকগুলো খোলার পর প্রাপ্ত টাকা ২৮টি বস্তায় ভর্তি করা হয় এবং পরে দোতালায় নিয়ে বাছাই ও গণনার জন্য বস্তাগুলো খুলে সব টাকা মেঝেতে ঢালা হয়।

পাগলা মসজিদের প্রশাসনিব কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত উদ্দিন ভুঁইয়া জানান, ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে টাকা বাছাই ও গণনার কাজ। এই কাজে অংশ নিচ্ছেন মসজিদ কমিটির কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, রূপালী ব্যাংকের স্টাফ ও মসজিদ সংলগ্ন নূরুল কোরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্ররা।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক কাজী মহুয়া মমতাজের তত্ত্বাবধানে এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সেনা সদস্য, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যের উপস্থিতিত টাকা গণনার কাজ চলছে।

এর আগে গত ২০ এপ্রিল দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছিল। তখন ২৭টি বস্তায় রেকর্ড ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। এ ছাড়া প্রচুর বৈদেশিক মূদ্রা ও স্বর্ণালংকার পাওয়া গিয়েছিল। সাধারণত তিন থেকে চার মাস অন্তর দানববাক্সগুলো খোলা হয়।

জেলা শহরের হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে প্রায় চার একর ভূমির ওপর পাগলা মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত। দুই শতাধিক বছরের প্রাচীন এতিহাসিক পাগলা পাগলা মসজিদে প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মুসলমান এসে দান ও মানত করতে আসেন। এ ছাড়া প্রতিদিনই লোকজন গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি প্রভৃতিও নিয়ে আসেন। ওইগুলো বিক্রি করে মসজিদের ফান্ডে জমা দেওয়া হয়। অন্য ধর্মাবলম্বী লোকজনও বিশ্বাসের কারণে এই মসজিদে এসে দান ও মানত করে থাকেন।