‘সোনা পাওয়া’ সেই কথিত ইটভাটায় ১৪৪ ধারা জারি
মাটি খুঁলেই মিলছে স্বর্ণ! আর স্বর্ণ পেলে অল্প সময়ে ভাগ্য বদলে যাবে। তাই হাজারো মানুষ ইটভাটার জমানো মাটির স্তূপ খুঁড়ছেন স্বর্ণ পাওয়ার আশায়। দিনের চেয়ে রাতে সহজেই মাটিতে স্বর্ণ পাওয়া যায়– এমন খবরে রাতের আঁধারে টর্চ লাইট আর মাটি খুঁড়ার যন্ত্র নিয়ে ইটভাটাটিতে হাজার হাজার মানুষ ভিড় করছেন।
ঠাকুরগাঁও জেলার রানীশংকৈল উপজেলার কাতিহারের একটি ইটভাটায় এ ঘটনা ঘটেছে। একটি মন্দিরের পাশ থেকে কেটে আনা মাটি ইটভাটায় স্তূপ করে রাখা হয়েছে। বাস্তবে প্রথমদিকে দুই–একজন স্বর্ণ পেলেও বাকিরা ফিরছেন খালি হাতে। এ কারণে এটিকে গুজব বলছেন খালি হাতে ফিরে আসা মানুষেরা।
শনিবার সকালে আরবিবি ইটভাটা নামের ওই ভাটায় গিয়ে দেখা যায়, ভাটাটির ঠিক পশ্চিম পাশে একটি মাটির স্তূপে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের জটলা। সে জটলার পাশেই ছোট শাবল, কোদাল, বসিলা দিয়ে আস্তে আস্তে মাটি খনন করে বাছাই করছে কিশোর–কিশোরী ও যুবকরাসহ বিভিন্ন বয়সী নারী–পুরুষ।
এবার নিরাপত্তা ঝুঁকি চিন্তা করে সেই ইটভাটায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। যা গতকাল রাত সাড়ে ১০টা থেকে কার্যকর হয়েছে। রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. রকিবুল হাসান এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাণীশংকৈল থানার ৫নং বাচোর ইউনিয়নের অন্তর্গত কাতিহার বাজারের উত্তরপার্শ্বে রাজোর গ্রামে মো. রুহুল আমিনের মালিকানা আরবিবি ইটভাটায় মাটির স্তূপ খুঁড়ে সোনা পাওয়া যাচ্ছে— এমন খবরে স্থানীয় মানুষজনসহ আশপাশের বিভিন্ন জায়গার অসংখ্য মানুষ বেশ কিছুদিন ধরে খুন্তি, কোদাল ইত্যাদি দিয়ে মাটি খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করে।
প্রতিদিন সেই স্থানে তারা সোনার সন্ধান করছে। ফলে আগ্রাসী লোকজন স্বর্ণ পাওয়ার আশায় ঝগড়া-বিবাদ, কলহ ও দ্বন্দ্বে লিপ্ত হচ্ছে।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়, প্রতিদিন জনগণ মাটি খুড়ে সোনার সন্ধান করতে থাকলে যে কোনো সময় ঘটনাস্থলে মারামারি, খুন, জখমসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।
তাই জেলা প্রশাসকের নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ইটভাটা এলাকা ও এর আশপাশে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।