বান্দরবানের রুমা ও রাঙামাটির বিলাইছড়িতে তুমুল গোলাগুলি; আতঙ্কিত এলাকাবাসী
ঈদুল ফিতরের কয়েকদিন আগ থেকেই আবারও সক্রিয় হয়েছে বান্দরবানের স্বশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কুকি চিন। তাদের ধরতে কয়েক দফা অভিযান পরিচালনা করেছে আইনশ্রংঙ্খলা বাহিনী। এবার বান্দরবানের রুমা উপজেলার রুমা খাল, প্রাংসা, পাইন্দু ও রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার বড়থলি সীমান্ত এলাকায় তীব্র গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওইসব এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
গতকাল শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে গোলাগুলির শব্দ পান স্থানীয়রা। তবে কার সঙ্গে কার গোলাগুলি হয়েছে তারা নির্দিষ্ট করে বলতে পারছেন না।
রুমা বাজারের একজন ব্যবসায়ী জানান, গত ২ এপ্রিল ব্যাংক ডাকাতির ঘটনার পর থেকে রুমাবাসী খুব ভয়ে আতংকে জীবনযাপন করছে। সে সময় থেকে বাজারের সব দোকানপাট সন্ধ্যা ৬টা বা ৭টার দিকে বন্ধ করে দেই। তবে আজকের গোলাগুলির ঘটনায় আমরাসহ এলাকার মানুষ আতংকিত হয়ে সব দোকানপাট বন্ধ করে দিয়েছি।
এদিকে বান্দরবানের রুমা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উহ্লা চিং মারমা জানান, কয়েকদিন ধরে রুমা উপজেলায় যৌথ বাহিনীর অভিযান চলছে। আমাকে স্থানীয়রা বিকেলে জানিয়েছেন, রুমা উপজেলার পাইন্দু ইউনিয়ন এবং রাঙ্গামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার বড়থলি ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী দুর্গম এলাকায় বিকেল থেকে গোলাগুলি হচ্ছে। এলাকাবাসীর ধারণা, কেএনএফের (সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট) সদস্যদের সঙ্গে যৌথবাহিনীর গোলাগুলি হচ্ছে।
রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.শাহজাহান জানান, গোলাগুলির সংবাদ পেয়েছি। তবে বিস্তারিত এখনো জানা যায়নি।
সম্প্রতি রুমা উপজেলায় সোনালী ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় গত ৫ এপ্রিল থেকে সন্ত্রাসীদের ধরতে অভিযান শুরু করে যৌথবাহিনী, যা এখনও চলমান। অভিযানে এ পর্যন্ত কেএনএফ সদস্য ও তাদের সহযোগীসহ ৬৬ জনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।