স্বামীর খোঁজে বাংলাদেশে এসে শূন্য হাতে ফিরলেন ভারতীয় তরুণী
ভারতীয় তরুণী রিয়া বালা (৩২) ও বাংলাদেশি তরুণ বিটু রায়ের (২৪) পরিচয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। এরপর ভারতে গিয়ে ওই তরুণীকে বিয়েও করেন বিটু। বেশ কিছুদিন সংসার করে স্ত্রীকে রেখে বাংলাদেশে ফিরে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন তিনি। উপায়ান্তর না পেয়ে স্বামীর খোঁজে গত বুধবার বাংলাদেশে আসেন ওই তরুণী। তাঁর আসার খবরে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান বিটু রায়। অবশেষে স্বামীর দেখা না পেয়ে নিরাশ হয়ে আজ শনিবার দেশে ফিরতে হয়েছে রিয়া বালাকে।
আজ শনিবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশনের মাধ্যমে শূন্যরেখায় রিয়া বালাকে তাঁর স্বজনদের হাতে তুলে দেয় তেঁতুলিয়া উপজেলা প্রশাসন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২৯ নভেম্বর বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন দিয়ে তেঁতুলিয়ায় বিটু রায়ের বাড়িতে আসেন রিয়া বালা। সঙ্গে বিয়ের প্রমাণ হিসেবে নিয়ে আসেন পঞ্চায়েত প্রধানের প্রত্যয়নপত্র ও কিছু ছবি। তাঁর আসার খবরে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান বিটু। এর মধ্যে স্বামীর পরিবারের লোকজন রিয়া বালাকে মেনেও নিচ্ছিলেন না।
গতকাল শুক্রবার স্বামীর বাড়িতে নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কায় তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফজলে রাব্বিকে ফোন করে সহযোগিতা চান ওই তরুণী। পরে ইউএনও স্থানীয় নারী ইউপি সদস্যদের সহযোগিতা তাঁকে উদ্ধার করে তেঁতুলিয়া থানার নারী ও শিশু সেলে রাখার ব্যবস্থা করেন। এ সময় বিটু রায়ের বাবা অখিল চন্দ্রও রায়কেও ডেকে আনা হয়। তিনি ছেলে ফিরে এলে তাঁকে নিয়ে ভারতে গিয়ে বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দেন।
আজ দুপুরে ইউএনও ফজলে রাব্বি ওই তরুণীকে বাংলাবান্ধা শূন্যরেখায় নিয়ে তাঁর স্বজনদের হাতে তুলে দেন।
প্রসঙ্গত, রিয়া বালা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বর্ধমান জেলার অম্বিকা কালনা এলাকার বাসিন্দা। তাঁর বাবা শ্যামল কান্তি বালা ভারতীয় রেলওয়েতে চাকরি করেন বলে জানা গেছে। রিয়া স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। আর বিটু রায় উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। তিনি তেঁতুলিয়ার দেবনগর ইউনিয়নের শিবচণ্ডী গ্রামের কৃষক অখিল চন্দ্র রায়ের ছেলে।