ভোলায় ঘূর্ণিঝড় মিধিলির তাণ্ডব; কয়েক শতাধিক ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত
শুক্রবার ঘূর্ণিঝড় মিধিলি তাণ্ডব চালিয়েছে উপকূলীয় অঞ্চলে। মিধিলির আঘাতে দ্বীপজেলা ভোলায় প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ের আঘাতে সাড়ে তিনশরও বেশি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়া আমন ধানেরও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি অফিস।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) রাত ৯টা পর্যন্ত জেলার ৭টি উপজেলার মধ্যে ৫টির ক্ষতির হিসেব পেয়েছে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়। সেখানে দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চরফ্যাশন উপজেলা। এ উপজেলায় ২১৯টি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়া মনপুরায় ৫২টি, লালমোহনে ৫০টি, বোরহানউদ্দিনে ৫টি এবং ভোলা সদরে ৩০টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
চরফ্যাশন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নওরীন হক বলেন, 'বৃহস্পতিবার থেকেই উপজেলায় বিদ্যুৎ নেই। ঘূর্ণিঝড়ের একাংশ এ উপজেলার ওপর দিয়ে সরাসরি অতিক্রম করায় মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১৯টি ঘর পুরোপুরি বিধ্বস্ত হওয়ার কথা জানা গেছে। আমরা চেষ্টা করছি সবকিছু স্বাভাবিক করতে।'
তিনি বলেন, 'জেলেদের আগেই তীরে ফেরানো হয়েছিল। তারপরও অনেক নৌকা ডুবেছে বলে জেনেছি।'
চরফ্যাশনের ঢালচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম হাওলাদার বলেন, দুপুরের দিকে আঘাত হানে মিধিলি। 'আমার ইউনিয়নের বেশকিছু ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে ও কিছু মাছ ধরার ট্রলার ডুবে গেছে।
ভোলার জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান জানান, 'জেলার প্রতিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাঠ পর্যায়ে গিয়ে ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণ করছেন। সম্পূর্ণ তালিকা তৈরি করে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রয়োজনীয় সহায়তা করা হবে।'
এছাড়া চাঁদপুরেও তাণ্ডব চালিয়েছে মিধিলি। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যার কিছুটা আগে জেলার ওপর দিয়ে এই ঘূর্ণিঝড় বয়ে যায়।
এসময় অসংখ্য গাছপালা, কাঁচা ঘরবাড়ি এবং বিদ্যুতের লাইন উপড়ে যায়। এছাড়া হাইমচর উপজেলার কাটাখালী লঞ্চ টার্মিনালের পন্টুন গ্যাংওয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
এমন পরিস্থিতিতে সন্ধ্যা থেকে চাঁদপুর শহরসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় মিধিলির ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানান, জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান। এরইমধ্যে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও কৃষি বিভাগ এবং সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।