আমাদের একটাই লক্ষ্য এদেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন করা
নেতাকর্মীদের সজাগ থাকার আহ্বান
‘গণতন্ত্র আছে বলেই দেশের উন্নয়ন হচ্ছে। আমাদের একটাই লক্ষ্য এদেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন করা। ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে ক্ষমতায় এসেছি। ফলে ধারাবাহিক গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রয়েছে।’
গত সোমবার বিকেলে খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠে খুলনা মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। বিএনপি-জামায়াত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন বানচাল করে দেশে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়। বিএনপি-জামায়াত মানে সন্ত্রাসী। এরা মানুষের জন্য রাজনীতি করে না। মানুষ খুন বিএনপি-জামায়াতের একমাত্র গুণ।’
নেতাকর্মীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে, কেউ যদি গাড়িতে আগুন বা মানুষের জীবন আগুন দিয়ে পোড়াতে চেষ্টা করে, ওই হাত ওই আগুনে পুড়িয়ে দেবেন, যেন আর কেউ সাহস না পায় দেশের মানুষের ক্ষতি করতে।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন এই ২৮ অক্টোবর কীভাবে পুলিশকে মাটিতে ফেলে পিটিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে। বেহুঁশ হয়ে গেছে তাও ছাড়েনি। তারপর কুপিয়েছে। ৪৫ জন পুলিশ আহত হয়েছে। সাংবাদিকদেরও ছাড়েনি। সাংবাদিকদের তারা পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছে। রাজারবাগ পুলিশ স্টেশনে ঢুকে হাসপাতালে আক্রমণ করেছে। কয়েকটা অ্যাম্বুলেন্স ভেঙেছে, পুড়িয়ে দিয়েছে।’
নির্বাচন প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু তনয়া বলেন, ‘ওই বিএনপি-জামায়াত ২০০৮ সালে মাত্র ২৯ আসন পেয়েছিল। তারা জানে, তাদের নেতা নেই, মুণ্ডুহীন দল। তাদের এক নেতা পলাতক আসামি, এক নেতা কারাগারে। আগামীতে ইলেকশন হবে। এই ইলেকশনের সময় একটা বিষয় সবাইকে নজরে রাখতে হবে। বিএনপি-জামায়াত এই দেশে নির্বাচন হতে দিতে চায় না। অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়।’
জনগণের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এলাকায় এলাকায় আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলো মানুষের নিরাপত্তা দেবে। আপনারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে কাজ করবেন।’