সাম্য হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার একজনের বাড়িতে আগুন

নিজস্ব প্রতিবেদক
জার্নাল ডেস্ক জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৫ মে ২০২৫, ০৯:২২ AM

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া তামিম হাওলাদারের গ্রামের বাড়িতে আগুন দিয়েছে ক্ষুব্ধ জনতা।

বুধবার (১৪ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে মাদারীপুর সদর উপজেলার ঝাউদি ইউনিয়নের ব্রাহ্মন্দী এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

গ্রেপ্তার তামিম হাওলাদার (৩০) সদর উপজেলার ঝাউদি ইউনিয়নের ব্রাহ্মন্দী এলাকার এরশাদ হাওলাদারের ছেলে। সাম্য হত্যার ঘটনায় তামিমসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাকি দুজন হলেন ঝাউদি ইউনিয়নের ব্রাহ্মন্দী গ্রামের পলাশ সরদার (৩০) ও ডাসার উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের শশিকর গ্রামের সম্রাট মল্লিক (২৮)।

প্রতিবেশীরা জানান, রাত সাড়ে ৮টায় তামিম হাওলাদারের বাড়ির দুটি ঘর আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে মাদারীপুর সদর থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ফায়ার সার্ভিসের সূত্র জানায়, সাম্য হত্যার ঘটনায় মাদারীপুরের তিনজন গ্রেপ্তার হওয়ার খবর বুধবার দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। গ্রেপ্তার তিনজন মাদারীপুরের বাসিন্দা হলেও তাদের বাড়ি আলাদা স্থানে। বুধবার বিকেলে ছাত্রদলের স্থানীয় কয়েকজন কর্মী-সমর্থকসহ স্থানীয় বিক্ষুব্ধ বাসিন্দারা জড়ো হয়ে তামিম হাওলাদারের বাড়িতে প্রথমে হামলা চালান। সন্ধ্যার দিকে আগুন ধরিয়ে দেন। এ সময় তামিমদের দুটি ঘর আগুনে পুড়ে যায়।

মাদারীপুর জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. জাকির হোসেন বলেন, উৎসুক জনতা ক্ষুব্ধ হয়ে আগুন দিয়েছেন। সেখানে ছাত্রদলের কোনো সদস্য রয়েছে কিনা তা জানা নেই আমার।

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) চাতক চাকমা বলেন, সাম্য হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার তামিম হাওলাদার বাড়িতে বিক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা অগ্নিসংযোগ করেছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে এ ঘটনায় কেউ আহত হয়নি।

এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় ছুরিকাঘাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহরিয়ার আলম সাম্য নিহত হন।

তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায়। এ ঘটনায় শাহরিয়ারের বড় ভাই এস এ এম শরিফুল আলম শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেন।