বায়ুদূষণে আজ শীর্ষে রাজধানী ঢাকা
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বায়ুদূষণের মাত্রা বাড়ছে, আর ঢাকার বাতাসও দিন দিন আরও দূষিত হয়ে উঠছে। বিশেষ করে শীতকালে বাতাসের মান আরও বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। চলতি বছরের শীতের শুরুতেই ঢাকার বাতাস বেশ কিছুদিন অস্বাস্থ্যকর ছিল এবং আজ বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে ঢাকার বাতাস ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় রয়েছে।
আজ সকালে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার-এর তথ্য অনুযায়ী, ঢাকার বায়ুমান স্কোর ২৪৯, যা নাগরিকদের জন্য ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বলে বিবেচিত। একই সময়, ২২৩ স্কোর নিয়ে পাকিস্তানের করাচি দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এবং তৃতীয় স্থানে ২১৫ স্কোর নিয়ে আবারও পাকিস্তানের শহর করাচি। চতুর্থ স্থানে রয়েছে উজবেকিস্তানের তাসখন্দ, যার স্কোর ২০৪, যা ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে গণ্য। ভারতের দিল্লি ১৯০ স্কোর নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে, যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত।
আইকিউএয়ার স্কোরের মান অনুসারে, শূন্য থেকে ৫০ পর্যন্ত বায়ু ‘ভালো’ হিসেবে গণ্য হয়, ৫১ থেকে ১০০ ‘মাঝারি’, ১০১ থেকে ১৫০ ‘অস্বাস্থ্যকর’ এবং ১৫১ থেকে ২০০ ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু হিসেবে বিবেচিত হয়। ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকা স্কোর ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত, যেখানে শিশু, প্রবীণ ও অসুস্থ ব্যক্তিদের ঘরের মধ্যে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। ৩০১ থেকে ৪০০ স্কোরের বায়ু ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে মনে করা হয় এবং এটি গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি করে।
বায়ুদূষণ সাধারণত পাঁচটি প্রধান উপাদান—পিএম১০, পিএম২.৫, এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন—এর ভিত্তিতে নির্ধারিত হয় এবং এটি সব বয়সের মানুষের জন্যই ক্ষতিকর। তবে বিশেষ করে শিশু, প্রবীণ, অসুস্থ ব্যক্তি ও গর্ভবতী নারীদের জন্য বায়ুদূষণ অত্যন্ত বিপজ্জনক।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়। বায়ুদূষণের কারণে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যানসার ও শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ থেকে মৃত্যুর হার বেড়ে যায়।