ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে
মুক্তিযোদ্ধার নাতি কোটা সুবিধা এবার থাকবে না
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তিতে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটায় শুধু মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদেরই বিবেচনা করা এবং মুক্তিযোদ্ধা কোটার ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি বিবেচনা না করার সুপারিশ করা হয়েছে। এটি চলতি ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে কার্যকর করা হবে। তবে পোষ্য কোটাসহ অন্যান্য কোটা বহাল থাকবে।
মঙ্গলবার ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তির কোটাসমূহের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা কোটা, ওয়ার্ড কোটা ও খেলোয়াড় কোটায় সংযোজন ও সংশোধনের জন্য গঠিত রিভিউ কমিটির’ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভায় আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ইকরামুল হক সভাপতিত্ব করেন। তিনি রিভিউ কমিটির আহ্বায়ক।
সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত রীতি অনুযায়ী যে কোনো নির্ধারিত কোটায় আসন পূরণ না হলে মূল মেধা তালিকার ক্রমানুযায়ী শূন্য আসন পূরণ করার সুপারিশ করা হয়।
বর্তমানে ভর্তির ক্ষেত্রে কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীর ওয়ার্ড কোটায় পোষ্যরা (শুধু ছেলে/মেয়ে/স্বামী/স্ত্রী) সুবিধা পান। এটার কোনো পরিমাণ নির্ধারিত নেই। এ ছাড়া ভর্তিতে ১ শতাংশ উপজাতি/ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী; ১ শতাংশ প্রতিবন্ধী (দৃষ্টি, বাক, শ্রবণ, শারীরিক, নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডারস, হিজড়া); ১ শতাংশ হরিজন ও দলিত সম্প্রদায়ের জন্য কোটা সংরক্ষিত আছে।
সব ধরনের কোটার ক্ষেত্রে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া আবশ্যক। উত্তীর্ণ হওয়ার পর বিষয় পাওয়ার ক্ষেত্রে উল্লিখিতরা কোটা সুবিধা পান।