বিজয় দিবসের প্রীতিভোজে ইসরায়েলী পানীয়কে না বলল জাবি শিক্ষার্থীরা
আসন্ন বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রতিটি হলে প্রীতিভোজের আয়োজন করা হয়েছে। তবে এবার উঠে এসেছে ভিন্নধর্মী প্রতিবাদ। ইসরাইলের নৃশংসতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ স্বরূপ হলগুলোতে ১৬ই ডিসেম্বরের ফিস্টে 7-up, Coca-Cola, Sprite, Mountain Dew এগুলা বয়কটের বিষয়টি উঠে এসেছে শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক-এ স্ট্যাটাস দিয়ে এ দাবির জানান দিচ্ছেন তারা। ফেসবুকে শেয়ার করা অর্ধ শতাধিক স্ট্যাটাস পর্যালোচনা করে এমনটি দেখা গেছে। এতে ইসরায়েলী পানীয়ের বিকল্প হিসেবে অন্য পানীয় চেয়েছেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো থেকে নিজেদের বিজয়ের দিনে আরেক দেশের নিপীড়িতদের বিজয় বা তাদের উপর চলমান নিপীড়ন কমাতে এ পদক্ষেপ নিতে শিক্ষার্থী ও কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
ইংরেজি বিভাগের চূড়ান্ত পর্বের শিক্ষার্থী তাহেরা সিদ্দিকা বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে অনেকের সাথে কথ বলেছি। এছাড়াও আমাদের হলের গ্রুপে পোস্ট করার পর অনেক শিক্ষার্থী এই দাবিতে একমত পোষণ করেছে।আমি আমার অন্যান্য হলের বন্ধুদের সাথে কথা বলে জেনেছি তারাও একই দাবি পোষন করছে। প্রশাসন যদি এটা ঠিক করে দেয় তাহলে আমরা জাহাঙ্গীরনগর থেকে প্রতিবাদস্বরুপ একটা বার্তা দিতে পারব।
৫০ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী আল - আমিন বলেন, আমরা আমাদের প্রীতিভোজে ইসরায়েলি পণ্য চাই না। আমরা চাই দেশীয় কোমল পানীয়ের মাধ্যমে আমাদের মহান বিজয় দিবসের প্রীতিভোজসম্পন্ন করতে।
শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল বলেন, যেহেতু মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সবাই ফিলিস্তিনের নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন তাই আমরাও আশা করি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও হল কতৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের এই দাবি পূরণ করে ফিলিস্তিনের জনগনের পক্ষে দাড়াবে।
এ ব্যাপারে প্রভোস্ট কমিটির সভাপতি অধ্যাপক নিগার সুলতানার সাথে কথা বলে জানা যায়,"সাধারণ শিক্ষার্থীরা এবং হল প্রশাসন যদি চাই তাহলে তারা এ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে, এতে আমার কোন সমস্যা নেই। এটা সাধারণ শিক্ষার্থী এবং হল প্রশাসনের বিষয়। এক্ষেত্রে আমার কিছু বলার নেই।"
সুফিয়া কামাল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক কে এম আককাছ আলী বলেন, আমাদের প্রীতিভোজ সংক্রান্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমি সেখানে শিক্ষার্থীদের এ দাবির কথা বলব।