কন্ট্রাক্ট লেন্স ব্যবহার করে দৃষ্টি হারানোর পথে অভিনেত্রী জেসমিন ভাসিনের
সাধারণত চোখের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য অনেকেই কনট্যাক্ট লেন্স ব্যবহার করেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কনট্যাক্ট লেন্সের ব্যবহার বেড়ে গিয়েছে অনেকটাই। কেউ প্রয়োজনে, কেউ ফ্যাশন-অ্যাকসেসরিজ হিসেবে নিয়ম করে কনট্যাক্ট লেন্স ব্যবহার করেন। তবে কালার বা রেগুলার লেন্স ব্যবহার করলেও এর রয়েছে কিছু পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া।
তেমনি অতি সম্প্রতি হিন্দি টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী জাসমিন ভাসিনের চোখে সমস্যা হওয়ার অভিজ্ঞতা ঘুম কেড়ে নিয়েছে অনেকেরই। একটি ইভেন্টে যাওয়ার আগে মানানসই কনট্যাক্ট লেন্স পরেছিলেন অভিনেত্রী। তারপর থেকেই দৃষ্টিতে সমস্যা দেখা দিয়েছে তার, সঙ্গে অসম্ভব যন্ত্রণা। ছটফট করছেন অভিনেত্রী। নেটদুনিয়ার ছড়িয়েছে টেলি-অভিনেত্রীর ব্যান্ডেজ করা চোখের ছবি।
গত ১৭ জুলাই এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তিনি দিল্লি গিয়েছিলেন। তার আগে মেকআপ করার পরই কনট্যাক্ট লেন্সটি পরেন তিনি। তারপর থেকেই জাসমিনের চোখে অসহ্য জ্বালা শুরু হয়। সেই সঙ্গে প্রবল যন্ত্রণা। কিন্তু ইভেন্ট আছে বলে যেতে পারেনি চিকিৎসকের কাছেও। চলে যান ইভেন্টে। সানগ্লাস পরে সামাল দেন অনুষ্ঠান। আস্তে আস্তে দৃষ্টি হারাচ্ছেন বুঝতেও পারছিলেন তিনি।
কেন ঘটল ভয়ঙ্কর এই ঘটনা, চিকিৎসকরা বলছেন, কর্নিয়ার আঘাত বা ক্ষতি হতে পারে অনেক কারণেই। কর্নিয়ার ওপর আঘাত বিভিন্ন উৎস থেকে হতে পারে। হঠাৎ কিছুর সঙ্গে ঘর্ষণ, রাসায়নিক কিছুর সংস্পর্শে আসা, কন্ট্যাক্ট লেন্সের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়া, কন্ট্যাক্ট লেন্সে সংক্রমণ, অতিবেগুনী রশ্মির প্রভাবে কর্নিয়ার ক্ষতি হতে পারে।
কর্নিয়ার আঘাত পেলে চিকিৎসা তো করাতেই হবে। তবে তার আগে কয়েকটি বিষয়ে খেয়াল রাখুন। চোখের মধ্যে কিছু আটকে থাকলে, তা বের করতে ডাক্তারের সাহায্য নিন। যদি কোনও রাসায়নিকের ছিটে লেগে থাকে, তা অবিলম্বে ধুয়ে ফেলতে হবে। উপসর্গ দেখা দিলে, সব কাজ ফেলে ডাক্তারের কাছে যাওয়া দরকার। সময় নষ্ট করা মানে অন্ধত্বকে ডেকে আনা। এবার কী কারণে কর্নিয়া আঘাত প্রাপ্ত হয়েছে, তা বুঝে ডাক্তাররা চিকিৎসা করেন। আই ড্রপ দেন। প্রয়োজনে চোখে ড্রপ বা মলম ব্যবহার করতে হয়। আঘাত সম্পূর্ণরূপে নিরাময় না হওয়া পর্যন্ত কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করা যাবে না।
কর্নিয়ার আঘাতের চিকিৎসায় বেশ কয়েকটি ধাপ জড়িত। চোখ থেকে বিদেশী উপাদান অপসারণ প্রায়ই প্রয়োজন। চোখের প্যাচ বা ব্যান্ডেজ লেন্স পরা আহত কর্নিয়াকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে। নিরাময় প্রচারের জন্য নির্ধারিত চোখের ড্রপ বা মলম ব্যবহার করা যেতে পারে। আঘাত সম্পূর্ণরূপে নিরাময় না হওয়া পর্যন্ত কন্টাক্ট লেন্স এড়িয়ে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অস্বস্তি পরিচালনা করার জন্য ব্যথার ওষুধ নির্ধারিত হতে পারে। খেয়াল রাখতে হবে সবসময় পরিষ্কার হাতেই লেন্স পরতে হবে। অসুবিধে হলেই চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
সূত্র: এবিপি, দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস